বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রাঙ্গুনিয়ার ইকো পার্ক পর্যটকদের পদভারে মুখরিত

প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের কোদালা বিটে শেখ রাসেল এ্যাভেয়ারী পার্ক পুরোদমে জমে উঠেছে। দীর্ঘদিন পার্কের মূল আকর্ষণ ক্যাবল কার (রোপওয়ে) বন্ধ থাকার পর গত ২০ জানুয়ারি ১২টি বগি চালু করা হয়েছে। পার্কে ক্যাবল কারে চড়তে বিনোদন প্রেমীদের ভিড় বেড়েছে। প্রতিদিন শতশত পর্যটকের আগমনে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য ইকোপার্কে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। একাধিক স্থানে তোড়ন নির্মাণ ও বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সবুজ প্রকৃতির সাথে আপনজনকে নিয়ে ইকোপার্কে বেড়াতে আসছে পর্যটকরা। বন বিভাগ সূত্র জানায়, দেশের প্রথম পক্ষীশালা রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা শেখ রাসেল এ্যাভেয়ারী পার্কে ক্যাবল কার ১১ মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ায় পর্যটকরা অনায়াসে ক্যাবল কারে চড়ে উপর থেকে সবুজ প্রকৃতি উপভোগ করতে পারছে। বেড়াতে আসা পর্যটক মোহাম্মদ শওকত হোসেন বলেন, ইকোপার্কে বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে কৃৃত্রিম হ্রদ। চারিপাশে নির্মাণ করা হয়েছে বসার স্থান। হ্রদে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছে। যেন পাখির মিলন মেলা। পাখির কলকাকলিতে এলাকা মুখরিত। চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে যাওয়া কলেজ ছাত্রী সুইটি বলেন, হ্রদের মাঝ খানে একখ- দ্বীপ গোল চত্বরে বিনোদন প্রেমীরা একের পর এক ক্যামরায় ক্লিক দিয়ে ছবি তুলছেন। দ্বীপে বসে অপরূপ সৌন্দর্য ও সবুজ পাহাড় উপভোগ করা যায়। হ্রদ ও পাহাড়ের উপর দিয়ে ক্যাবল কার ছুটে যাওয়ার দৃশ্য মুগ্ধ করে। প্রিয়জনকে নিয়ে এ অপূরূপ দৃশ্য ধারণ করতে কার না মন চায়। পার্কের নিরাপত্তায় কর্মরত মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, চট্টগ্রামসহ দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসছেন। ক্যাবলকার চালুর পর থেকে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। টুরি‌্যস্টদের আগমনে পুরো পার্ক উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের মুখরে পার্কে ব্যস্ত হয়েছে সকল র্স্পট। রাঙ্গুনিয়া শেখ রাসেল এ্যাভেয়ারী পার্কের ইনচার্জ অভিজিৎ কুমার বড়ুয়া বলেন, ক্যাবল কার চালু হওয়ায় পর্যটকদের আগমন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্যাবলকার চালু হওয়ায় পর্যটকরা অনায়াসে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারছে। নিরাপত্তা জোরদারসহ পর্যটকদের অনায়াসে বেড়ানোর সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আনন্দঘন পরিবেশে পরিবার-পরিজন নিয়ে পর্যটকরা ইকোপার্কে বেড়াতে পারছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন