সংযোগ সড়ক ও ব্রিজের গাইডওয়াল না থাকায় প্রাণহীন হয়ে পড়ে রয়েছে রামগড়ের ৬নং ওয়ার্ড তৈচালা খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি। সে সাথে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে ভুগছে ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। জানা যায়, চলাচলের সুবিধার্থে ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ থেকে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে, ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক এবং গাইডওয়াল না থাকায় বর্তমানে এলাকাবাসী এটি ব্যবহার করতে পারছে না। ব্রিজটি যে সড়কের সাথে সংযুক্ত করা হবে সেখানে নেই চলাচলের উপযোগী কোনো সড়ক। তবে সড়ক না থাকলেও মানুষের চলাচল লক্ষণীয়। মধ্যম তৈচালাপাড়া ও ভতচন্দ্রপাড়ার প্রায় ৭০০শ’ পরিবারের চলাচলের একমাত্র গ্রামীণ সড়ক এটি।
হাসান আলী নামের এক বৃদ্ধ জানান, এলাকাবাসী বর্ষার সময়ে খালের ওপর কাঠ বাঁশ দিয়ে সাকু নির্মাণ করে চলাচল করে যে শান্তি পেয়েছে, বতর্মানে ব্রিজটি নির্মাণ করাতে মানুষের সেই শান্তি চলে গেছে। বর্ষার আগে এই ব্রিজের যদি গাইড সংযোগসহ মাঠি ভরাটের কাজ না করা হয় তাহলে যেটুকু রাস্তা আছে তাও ভেঙে যাবে। ফলে ভোগান্তি আরো বেড়ে যাবে। ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আবু তাহের বলেন, ২ বছর ধরে ধীরগতিতে ব্রিজের কাজ হয়েছে।
ব্রিজের কাজ শেষ করলেও দুপাশে মাটি ভরাট না থাকায় এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বর্তমানে ব্রিজের দুইপাশে সংযোগ সড়ক না থাকাতে এলাকার মানুষ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্রিজ ছাড়াও এখানে চলাচলের কোনো উপযোগী রাস্তা নেই। বিকল্প হিসেবে একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ খুব প্রয়োজন ছিল বলে জানান তিনি। জাকির হোসেন নামের আরেকজন গ্রামবাসী জানান, ব্রিজটি কোনো উপকারে আসছে না। বাজার করে কাঁধে নিয়ে ব্রিজের নিচে দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা খুব কষ্টকর হয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা জানান, সংযোগ সড়ক এবং গাইডওয়াল না থাকার বিষয়টি তিনি অবগত ছিলেন না। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার থেকে খোঁজ নিয়ে খুব দ্রুত বাকি কাজ সম্পন্ন করে দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন