কুষ্টিয়া শহরের শূন্য রেখায় অবস্থিত আর এ খান রোড নামে পরিচিত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে সাধারণ মানুষের এ ভোগান্তিতে নজর নেই কর্তৃপক্ষের। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার ওপর হাঁটু পানি জমে থাকে। শহরের পাঁচ রাস্তার মোড় হতে এর পাশে গড়ে উঠেছে শহরের বিত্তবানদের বসবাস স্থান।
জানা যায়, আবাসিক এলাকা হিসেবে সুপরিচিত এই রাস্তার পাশ ঘেসে গড়ে উঠেছে বড় বড় উঁচু অট্টালিকা। শুধু তাই নয় এই রাস্তাটির পাশে মোটরসাইকেল শো-রুম, হার্ডওয়ার, সিরামিক্স ও নামি দাবি রেস্তোরাসহ শহরের সাথে হরিপুর ব্রিজের ওপারের সাধারণ মানুষের যাতায়াত। প্রায় এক যুগ ধরে সংস্কার না হওয়ায় পাঁচ রাস্তার মোড় হতে ছয় রাস্তার মোড় পর্যন্ত পরিণত হয়েছে বেহাল দশায়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় প্রায়ই ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
এই এলাকার বাসিন্দা ব্যাংকার টিপু সুলতান জানান, কোনো না কোনো কাজের জন্য হরহামেশাই যাতায়াত করতে হয়। শহরে যাওয়ার একমাত্র পথ এটি। কিন্তু প্রায় এক যুগ ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ভরে গেছে খানাখন্দ। মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় যাত্রীদের। তিনি আরো জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায় সড়কটি। রাস্তায় পানি জমে থাকলে কোন জায়গাটা ভাঙা তা বোঝা যায় না। ফলে যানবাহনের চাকা ভাঙা স্থানে পড়ে ঘটে দুর্ঘটনা। মাঝে মধ্যেই এলাকার খানা-খন্দে পণ্যবাহী বড় বড় ট্রাক আটকা পড়ে। দ্রæত সড়কটি সংস্কার হলে কমবে কয়েক হাজার মানুষের প্রতিদিনের দুর্ভোগ। এক সিরামিক্স ব্যবসায়ী জানান, সড়ক খারাপ হওয়ায় পণ্য পরিবহনে সমস্যা হয়। গাড়িতে করে মাল আনতে কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় ঝাঁকিতে মাল ভেঙে যায়। সড়কটি দ্রæত সংস্কারের দাবি জানান এই ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাইমুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি মাত্র ৬ মাস হলো দায়িত্ব পেয়েছি। এই রাস্তার ভোগান্তি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করবেন বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন