রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

জড়িত না থাকলে বিদেশে পলাতক কেন তারেক রহমান : ফখরুলকে নানক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার হত্যাকান্ডে তারেক রহমান জড়িত আছে বলেই দেশের বাইরে পালিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্যে বলেন, তারেক রহমান জড়িতই যদি না থাকে, তাহলে আপনাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দেশ থেকে পালিয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে রয়েছেন কেন? আসুক না, এসে আইনের মোকাবেলা করেন। সাহস থাকলে এসে প্রমাণ করেন ২১শে আগস্ট হত্যার সঙ্গে জড়িত না।

গতকাল রাজধানীর বেগম নুরজাহান মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুল মাঠে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আদাবর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা ও অসহায় মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সংসদ সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচিসহ মহানগর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সেদিন কারা হামলা চালিয়েছিল? মির্জা ফখরুল সাহেব জবাব দেন। সে জবাব দিতে হবে আপনাদের জাতির কাছে। গ্রেনেড হামলা হয়েছে তারপর গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসায় বাধা দিয়েছেন আপনারা, গ্রেনেড হামলায় যারা নিহত হয়েছে তাদের লাশ গুম করতে চেয়েছিলাম আপনারা। আর গ্রেনেড হামলার পর সংসদ অধিবেশনে আপনাদের চেয়ারপারসন বক্তাতা করলেন, বললেন শেখ হাসিনা নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে বোমা নিয়ে গেছেন ,এরচেয়ে লজ্জার আর কি আছে? আজ সবকিছু আজ খোলাসা হয়ে গেছে, পরিষ্কার হয়ে গেছে মানুষের কাছে কিভাবে হত্যার নীলনকশা হয়েছিল। কারা কারা জড়িত ছিল।

তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাহস থাকে তো আসুন না, আর সে সময় খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী কেন পলাতক? একমাত্র কারণ হলো যে গ্রেনেড হামলায় জড়িত ছিল, নীল নকশা করেছে তার সব বেরিয়ে এসেছে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পিছনে যারা কলকাটি নেড়েছে তাদের মুখোশ এখনো উন্মোচিত হয়নি। তাদের মুখোশ উন্মোচন করতেই হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাঙ্গণের কোমলমতি ছাত্রদেরকে মৃত্যুর দিতে ঠেলে দেয়া যায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের এই মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারেন না। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসলে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও গুলো দেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন