বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান বিশ্বাসের দায়ের করা মানহানি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নড়াইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ইস্ট লন্ডনের এন্ট্রিয়াম ব্যাংকওয়েট হলে বিএনপির সভায় তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজাকার ও পাকবন্ধু’ বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়ে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বেন্দারচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান বিশ্বাস বাদী হয়ে নড়াইল সদর আমলি আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন।
তিনজনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। তবে মামলার আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া তার পক্ষে কোনো আইনজীবীও ছিলেন না।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার বসু বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে রায় হয়েছে, তাতে আমরা খুশি হয়েছি। তিনি বিদেশে পলাতক আছেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পরই তার এ সাজা কার্যকর হবে।
নড়াইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ বলেন, তারেক রহমান এ মামলায় ন্যায় বিচার পাননি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দলের সিনিয়র নেতা ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন