তারেক রহমানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বলেই তার বিরুদ্ধে তাদের (সরকার) এত ক্ষোভ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ভয় পেলে কি লাভ হবে। যে ভয় পেতে ছিলেন ওই ভয়ই এখন আপনাদের খাবে। তারেক রহমানকে আমরা কেন নেতা মানি এই নিয়ে তাদের (আওয়ামী লীগের) আপত্তি। আরে ভাই আপনারা আপনাদের দলের কাকে চেয়ারম্যান বানান সেক্রেটারি বানান এটা কি আমরা বলতে যাই নাকি? ওটা আপনাদের ব্যাপার। আর আমরা বিএনপিতে কাকে চেয়ারম্যান বানাবো, কাকে মহাসচিব বানাবো এটা আপনারা বলার কে? আমরা তারেক রহমানকে ভালোবাসি, তার মধ্যে আমরা শহীদ জিয়ার চেহারা দেখি।
গতকাল সোমবার (৭মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষ্যে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমান দিনরাত পরিশ্রম করেন। প্রতিদিন কত জায়গায় কত সংগঠনের সাথে উনি কথা বলেন জানেন? আমরা ঢাকা থেকে বিএনপির যতলোককে চিনি না, উনি লন্ডন থেকে তার চেয়ে বেশি লোককে চেনেন। আমরা যত লোকের সাথে কথা বলি না, উনি লন্ডন থেকে তার চেয়ে বেশি লোকের সাথে কথা বলেন। তারপরে উনি নেতা হবেন নাকি ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদের কথা মতো আর একজনকে নেতা বানাতে হবে?
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১/১১’র সরকার অত্যন্ত গর্হিতভাবে, অন্যায়ভাবে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করেছিল। যে অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সেটা ছিল একটা চাঁদাবাজির অভিযোগ। কিন্তু যাকে অভিযোগকারী দেখানো হয়েছিল তিনি পরে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তিনি সে অভিযোগ করেননি। সেই অভিযোগপত্রে যে দস্তখত সেটা তার না। এরকম কোনো অভিযোগ তার কখনও ছিল না, এখনও নেই। অর্থাৎ পুরোপুরি একটা মিথ্যা ডকুমেন্টের ওপর, বানোয়াট অভিযোগে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে নানা ভাবে নির্যাতন করে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছিল।
মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, এবিএম মোশাররফ হোসেন, যুবদলের সাইফুল আরম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।###
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন