বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বেতাগী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা

বেতাগীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির শস্য বিতরণে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফেয়ার প্রাইজ ডিলারদের অভিযোগ সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে শস্য বিতরণ ওজনে তাদের কম দেয়া হয়। ওই কর্মকর্তা গরীবের চাল হাতিয়ে নেয়ার বাণিজ্য করলেও তাদের বলার কিছু থাকে না। জানা গেছে, ৫০ কেজি চালের বস্তা পরিমাপে ৫২ কেজি হিসেবে বিতরণ করে তাদের ঠকানো হচ্ছে। এতে ডিলাররা সংকটে পড়ছে। ফলে শুরুতেই এ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। দরিদ্র ও হত দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে ১০ টাকা কেজিতে ফেয়ার প্রাইজ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণ কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪ হাজার ৮৩৯টি কার্ডধারীদের হাতের নাগালে চাল বিতরণের জন্য উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রতি ইউনিয়নে দু’জন করে ১৪ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়। উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ফুলতলা বাজারের ডিলার মো. মজিবুর খন্দকার ও মোকামিয়া মাদ্রাসা বাজারের শাহীন হোসেন অভিযোগ করেন, খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত চালে ওজনে কম দেয়ায় ঘাটতি পূরণে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আরো একাধিক ডিলার অভিযোগ করেন, বস্তার গায়ে সিলমারা ৫০ কেজি, সেই একই বস্তায়ই ৫২ কেজি ধরে পরিমাপ করে বিতরণ করা হচ্ছে। কুমড়াখালী বাজারের ডিলার মো. কাদের মিয়া জানান, সঠিকভাবে তিনি মাল পাচ্ছেন না। সরকারি ডিজিটাল মিটার দিয়ে ওজন করে চাল দেয়ার জন্য অনুরোধ করলেও বিদ্যুত সংযোগ না থাকায় দিচ্ছেন না। হোসনাবাদ ইউনিয়নের কাবিল আকন বাঁধঘাট বাজারের ডিলার মো. হানিফুর রহমান বলেন, প্রতি বস্তায় চাল কম হওয়ায় আমার ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এভাবে চলতে থাকলে কার্ডধারীদের সঠিকভাবে মাল দিতে গেলে মুশকিলে পড়তে হবে। একই এলাকার তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম জানান, খাদ্য গুদাম থেকে বস্তায় যা ধরে দেয়া হয় বাস্তবে তার মিল নাই। ফলে ডিলারদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও খাদ্য শস্য বিতরণে হেরফের হয়। সড়িষামুড়ি ইউনিয়নের শশীর হাঁট বাজারের ডিলার খোকন জোমাদ্দার জানান, এ বিষয় আপত্তি করলে খাদ্য কর্মকর্তার উক্তি কম হবেই কিছুই করার নেই। গুদামে যেভাবে সরবরাহ করেছে সেভাবেই নিতে হবে এই বলে চাপিয়ে দেন। বেতাগী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) উত্তম কুমার নন্দী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যে যাই বলুক তা আদৌ সত্যি নয়। ডিলারদের চোখের সামনে শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে পরিমাণ করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। পরিবহন করতে গিয়ে কিংবা অন্য কোন কারণে ঘাটতি হতে পারে। সে দায়িত্ব আমার কাঁধে নিতে রাজী নই। আর বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাপনার অভাবে ডিজিটাল মেশিন এখনো চালু করা হয়নি। চান্দখালী বাজারের ডিলার মনির হোসেন জানান, একই সময়ে তার দুই মন চালের ঘাটতি হয়েছে। সামনে বসে চাল পরিমাপ করলেও কারসাজি থাকে না, এত কম হওয়ার কারণ কি? এ বিষয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন মোল্লা বলেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজিটাল মিটার দিয়ে আমি ওজন করে দিতে বলেছিলাম। পরে কি হয়েছে জানতে পারিনি। কারো ওজনে কম হয়ে থাকালে ওসিএলএসডিকে জানাতে পারেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম,এম মাহমুদুর রহমান বলেন, এখনো এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন