গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের নানা অনিয়ম র্দ্নুীতি ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় মিটার রিডিং প্রস্তুতকারী কর্মচারীদের অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে মিটার না দেখেই রিডিং লেখা ও বিল তৈরি করা, আবাসিক মিটারে বাণিজ্যিক বিল এবং বাণিজ্যিক মিটারে আবাসিক বিল দেয়া হচ্ছে। আবাসিক মিটারে পর পর দুই মাস ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা বিল তৈরি করছে, আবার তৃতীয় বা চতুর্থ মাসে দুই-তিনগুন বিল আসছে। ফলে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে গিয়ে গ্রাহক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। একদিকে ভৌতিক বিল, অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় কখনো সারাদিনেও বিদ্যুত না থাকায় গ্রাহক ও সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে কল-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেও গ্রহকরা কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নের টালাবহ বাজার সংলগ্ন আতিকুল ইসলামের অটোরিকশা (ব্যাটারি চার্জার) গ্যারেজের বাণিজ্যিক মিটারে প্রায় ৪ হাজর টাকা বিল হওয়ার কথা সেখানে গত দুই মাস ধরে জুলাই ও আগস্ট মাসে বিল হয়েছে মাত্র ২৫৫ টাকা করে। অপরদিকে টালাবহ এলাকার ইমরান হোসেনের আবাসিক মিটারে গত জুলাই মাসে ৮২২ টাকা, চলতি আগস্ট মাসে বিল আসছে ১৭৮৫ টাকা। এভাবে মনগড়া ও মিটার না দেখেই বিল তৈরির চিত্র পাওয়া গেছে।
ভুক্তভুগী এলাকাবাসী জানায়, আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ উধাও এবং কাল্পনিক বিল তৈরির ঘটনায় গ্রাহকগণ বহু অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তা ডিজিএম সোলাইমান হোসেন বলেন, আমার নিকট অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন