দিন নেই-রাত নেই প্রতি মুহূর্তেই চলছে মশার অত্যাচার। রীতিমতো মশার কামড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কেড়ে নিয়েছে মানুষের স্বস্তি। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকায় মশক নিধন অভিযান না থাকায় ব্যাপক হারে মশা বংশ বিস্তার করায় উপদ্রব মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ডেঙগুসহ মশা বাহিত নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন সুনামগঞ্জ পৌরবাসী।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, মশার কামড়ে ডেঙগু-ম্যালেরিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, মশা নিধনে ব্যবহৃত কয়েল কিংবা কীটনাশকও বাড়াতে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বলাকা এলাকার বাসিন্দা তুষার আহমদ বলেন, সুনামগঞ্জ শহরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেলেও মশার বংশ বিস্তার রোধে পৌর কর্তৃপক্ষের ওষুধ ছিটানোর কোন খবর নেই। এখন এমন অবস্থা হয়েছে রাতে মশারি টানিয়ে ঘুমালেও মশারির মধ্যে মশা ঢুকে যাচ্ছে। মশার কয়েল দিলেও কাজ হয় না। মশার গুণগুণ শব্দ আর কামড়ে ভীষণ বিরক্ত লাগে। আমি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই দ্রুত মশা নিধনের ব্যবস্থা করা হোক। নবী নগরএলাকার বাসিন্দা কামাল পাশা বলেন, মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। কোথাও এক মিনিট নিরাপদে বসা যাচ্ছে না। ইলেকট্টিক ব্যাট, অ্যারোসল, কয়েল জ্বালিয়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ মেয়র নাদের বখত বলেন, আমাদের কাছে মশক নিধনের মেশিনসহ পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ আছে। গত কয়েক দিন ধরে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন