শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দিশেহারা মঠবাড়িয়ার কৃষক

আমন বীজ সঙ্কট তীব্র

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তীব্র আমন বীজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যার ফলে দিশেহারা কৃষক। গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও ভারি বর্ষণে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উপজেলায় তীব্র বীজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর কারণে অধিকাংশ কৃষক আমন আবাদ করতে পারবে না।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, লঘুচাপ ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে ২শ’ হেক্টর বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ায় বীজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে, বেসরকারি হিসেবে বীজতলা নষ্ট হয়েছে ২শ’ হেক্টরের অনেক বেশি। বীজ সঙ্কটে সহাস্রাধীক জমি অনাবাদী থাকবে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬ হাজার টন আমন উৎপাদন কম হবে। এদিকে, পাশর্^বর্তী শরনখোলা, কাঠালিয়া ও ভান্ডারিয়া উপজেলায় বীজ পাওয়া গেলেও তা অগ্নি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত ভ্যান, পিকআপ ও ট্রলারে বীজ আনতে দেখা গেছে। ১ কাঠি (২৬ কেজি) ধানের বীজ ১০/১২ হাজার টাকা তারপর আছে পরিবহন খরচ।

সাপলেজা ইউনিয়নের ক্ষেতাছিরা গ্রামের ইউপি সদস্য মো. আফজাল বেপারী জানান, প্রায় ৬ হাজার টাকার বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তার বীজ কিনে জমি আবাদ করতে হবে। দাউদখালী ইউনিয়নের হারজী নলবুনিয়া গ্রামের মো. শহিদ মেম্বর জানান, বীজের অভাবে তার ৩ একর জমি অনাবাদী থাকবে। মিরুখালী ইউনিয়নের নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামের আ. হামিদ মোল্লা জানান, পানির জিন্নে (কারণে) গত বছর আমন ধান অয় নায়। ১ কুড়া (৬৬ শতাংশ) জমির আউশ ধান আর বীজ পানিতে পইচ্চা শেষ অইয়া গেছে। এহন লাখ টাহার দেনা লইয়্যা আর আমন রুইতে (রোপণ) পারমু না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন বীজ সঙ্কটের কথা স্বীকার করে জানান, যে সকল কৃষক আমন আবাদ করতে পারবে না তারা ক্ষতি পুষিয়ে নেবার জন্য আগাম বোরো আবাদ করতে পারবেন। ১ মাস পরেই বিএডিসির বোরো বীজ ধান বাজারে আসবে। কৃষকরা চাহিদা দিলে বিএডিসির মাধ্যমে পর্যাপ্ত বোরো বীজ ধান আনার ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন