অভ্যন্তরীণ ডেস্ক
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে রাতের আঁধারে কে বা কারা বিষ প্রয়োগে ১৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদনÑ
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগে ১০ লাখ টাকা মূল্যের মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের কিংছুপুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রজেক্টের পরিচালক পার্শ্ববর্তী বরদৈনবাড়ীর ইছহাক মজুমদার বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সাধারণ ডায়েরিতে ইছহাক মজুমদার উল্লেখ করেন, আট মাস আগে তিনিসহ ৬ জন যৌথ উদ্যোগে কিংছুপুয়া গ্রামে ২ একরবিশিষ্ট জমির একটি মাছের প্রজেক্টে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২৫ হাজার পিস দেশীয় মাছ চাষ করেন। মঙ্গলবার রাতে কে বা কারা প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করলে ১২-১৩ টন ছোট-বড় মাছ মরে ভেসে উঠে। এতে অন্তত ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তবে মাছের সাথে শত্রুতা করে কি লাভ হলো বিষ প্রয়োগকারীদের?Ñ এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।
সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে প্রতিহিংসার জের ধরে দুর্বৃত্তরা এক মৎস্য ব্যবসায়ীর খামারে রাতের বেলায় বিষ ঢেলে বিভিন্ন জাতের ৫ লক্ষ টাকার মাছ নিধন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার আলোকপাড়া গ্রামের ওসমান আলী সরকার মৎস্য খামারে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলোকপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে ওসমান আলী সোনাইমুড়ী বাজারে দীর্ঘদিন ধরে আল্লাহ ভরাসা ভাই ভাই মৎস্য আড়ৎ নামীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যবসা করার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পুকুর বর্গা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা প্রতিহিংসার জের ধরে তার ৪টি মাছের খামারে বিষ ঢেলে দেয়। এতে বিভিন্ন জাতের প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মাছ মারা যায়। এ বিষয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী ওসমান আলী বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মইনুল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মৎস্য ব্যবসায়ী ওসমান আলী জানান, কে বা কাহারা প্রতিহিংসার জের ধরে তার মৎস্য খামারে বিষ ঢেলে দিয়েছে। এতে তিনি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন