ভোট কেন্দ্রে আসতে চায়না ভোটার। নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। ভোট নিয়ে নেই উৎসাহ। চিরায়িত উৎসব মুখর পরিবেশও নেই। বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি একেবারে নেহাত। বাড়ি বাড়ি যেয়ে প্রার্থীদের কর্মী সমর্থক মহিলা ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন, এতে বিফল্ও হচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে। এই অবস্থায় দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর ১২টা নাগাদ ভোট পড়েছে ২০ শতাংশ। ভোটারের সংখ্যা ফেঞ্চুগঞ্জেও কম। এই দুই উপজেলার তুলনায় কিছুটা বেশি ভোটার বালাগঞ্জে। সকাল ৮ টা। দক্ষিণ সুরমার কুচাই ইউনিয়নের জান আলী শাহ কেন্দ্র। সব প্রস্তুতি নিয়ে বসে ছিলেন নির্বাচনি কর্মকর্তারা। ভোটার না থাকায় নির্ধারিত সময়েও শুরু করতে পারেননি ভোট তারা। ৮টা ১০ মিনিটে এজেন্টরা একজন ভোটারকে ডেকে এনে ভোট শুরু করলেন। প্রায় আধাঘণ্টা এই কেন্দ্রে বসে থেকেও ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। সকাল ৯টায় ইছরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রও দেখা যায় একেবারে ফাঁকা। মাঝেমধ্যে একজন দুজন কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন যেয়ে। সকাল ১০টায় পশ্চিমভাগ (১) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন নারী ভোটার আছেন। প্রায় ফাঁকা পুরুষদের বুথ। ভোট দিতে যাওযা গৃহবধূ জাহানারা বেগম বলেন, ‘ ভোট দিতে আসেননি। আমাদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসছে।’ৎসিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোট চলছে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে। তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনের ভোটার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। ভোট সকাল ৮টা থেকে শুরু হলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার ১৬টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটার মাঠ মান্দা। এসব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে। যদিও সকালে তারা আশা করেছিলেন যে বেলা বাড়তে থাকলে বাড়বে ভোটার। সিরাজ উদ্দিন আহমদ অ্যাকাডেমি সেন্টারে দুপুর ১২টায় গিয়ে দেখা যায়নি একজন ভোটারও । এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, সকালে ভালো ভোটার ছিল। ১২টা পর্যন্ত ৩০০ ভোট পড়েছে।’ তিন উপজেলার মধ্যে দক্ষিণ সুরমার মতো অবস্থা ফেঞ্চুগঞ্জেও। সেখানেও সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি একেবারে কম। তবে, বালাগঞ্জে সে তুলনায় ভোটার বেশি। বালাগঞ্জ ডি এল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ১২টা পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ । সেখানে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বেশ তৎপর দেখা গেছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন। তবে, অন্য প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের তেমন দেখা যায়নি। দক্ষিণ সুরমার কুচাই ইউনিয়নের শ্রীরামপুর প্রাথমকি বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সেন্টার কমিটির দায়িত্বে আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য তাহমিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘এই ভোট নিয়ে মানুষের আগ্রহ নেই। তবু আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের আনার চেষ্টা করছি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন