বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পাউরুটির প্রলোভনে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৫৩ পিএম

পাউরুটির প্রলোভন দেখিয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে (২৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো থানায় অভিযোগ করায় প্রানণাশের হুমকি দিচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল। রবিবার দুপুরে এমন অভিযোগ করেন ভূক্তভোগি ওই পরিবার।
মামলার বাদীর সাথে কথা বলে জানা যায়, জন্মগতভাবেই তাঁর মেয়ে মানসিকভাবে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। ওর প্রতিবন্ধী কার্ডও রয়েছে। তার চোখে-মুখে চলা ফেরা সবকিছুতেই সরলতায় ভরা। অপছন্দের কিছু হলেই বাড়িতে এসে সবকিছু সরলভাবে সবাইকে জনায়। মেয়েটির বাবা কয়েকবার হৃদরোগে আক্রন্ত হয়ে অচলাবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে চার বছর ধরে। দুই ছেলের রাজমিস্ত্রি ও কৃষি কাজের টাকায় চলছে তাদের সংসার।
মামলার বাদী আরো বলেন, চলতি মাসের ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে মেয়ের মা তাকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে কলসিতে করে পানি আনতে বলে। পুকুর পাড়ে গেলে প্রতিবেশী বজলু হাওলাদার (৪৮) পাউরুটি খাওয়াবে বলে মেয়েটিকে তাঁর বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি বাড়িতে ফিরে এসে পরিবারের সবাইকে ঘটনাটি জানায়। সবকিছু শোনার পরে ওই দিন দুপুরেই মেয়েটির মা সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবন্ধী ওই মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে তাঁরা শুনেছেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পরে বজলু হাওলাদারকে আর গ্রামে দেখা যায়নি।
পাশবিক নির্যাতনের শিকার মেয়ের ভাই বলেন, ‘আমার বোনের নির্যাতনের বিষয় থানায় জানাইছি দেখে অনেকে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে ফেলতে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। মামলা না উঠালে আমাদের মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে। আমরা কি বোনের নির্যাতনের বিচার পাবো না? নাকি মামলা করায় আমরাই ভয়ে থাকবো।’
এ ব্যাপারে বজলু হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে পাওয়া তাকে যায়নি। তাঁর স্ত্রী লিলি বেগম ঘটনা মিথ্যা বলে দাবি করেন। তবে তাঁর স্বামী কোথায় গেছেন, তা তিনি জানেন না বলেও জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই থোয়াই ছামং চাক নয়ন বলেন, ‘ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরে সেদিনই মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার পর খেকে আসামী গাঢাকা দিয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করতে আমি কয়েবার এলাকায় গিয়েছি, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলার ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন