শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সংস্কার না করায় ফের ধস

টঙ্গীবাড়ী জোরা ব্রিজের সংযোগ সড়ক

মো. রনি শেখ, টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে গত এক বছরের অধিক সময়ের আগে বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে যায় উপজেলার হাসাইল-কামাড়খারা-আদাবাড়ি সড়কের ভাঙ্গনিয়া জোরা ব্রিজটি।
গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর নির্মিত জোরা ব্রিজের সংযোগ সড়কে গত এক বছরেও স্থায়ীভাবে সংস্কার না করায় ফের ধসে পড়েছে ওই ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়ক। গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতের দিকে ফের আবারো ধসে যায় জোরা ব্রিজের সংযোগ সড়কটি। এতে চরম বিপাকে পড়েছে ওই রাস্তায় যাতায়াতকারী প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া-হাসাইল-আদাবাড়ি সড়কের ভাঙ্গনীয়া, বাইনখাড়া এলাকার ওই জোরা ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এর আগে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই ওই সংযোগ সড়কের জোরা ব্রিজের গোড়ার মাটি পানির তীব্র স্রোতের কারণে ধসে যায়। এতে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ওই ব্রিজের গোড়ায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলে রাখা হলেও তার উপর দিয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারতো। তবে যান চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু উজান হতে নেমে আসা ঢলের পানিতে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ওই ব্রিজ সংলগ্ন পদ্মা নদীতে পানির স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতের তোড়ে আবারো ভেঙে গেছে ব্রিজের এপ্রোচ। এপ্রোচ ধ্বংসের কারণে উপজেলার বাইনখাড়া, নশংকর, কামারখাড়া, ভাঙ্গনিয়া, হাসাইল, আদাবড়ি, বরাইল, চৌসার, ভিটিমালধাসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের সঙ্গে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর ও ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পানির তীব্র স্রোতের কারণে এই সেতুটির গোড়ার মাটি বেশ কয়েকবার ধসে যায়। প্রায় ১২ বছর আগে নদী-সংলগ্ন বাইনখাড়া এলাকার লোকজন নিজেদের উদ্যোগে সেতুটির নিচে দেয়াল নির্মাণ করে স্রোত প্রবেশ বন্ধ করে। কিন্তু গত বছর বন্যার কারণে সেতুটি ভেঙে যায়। এছাড়া সেতুর সংযোগ সড়ক শক্ত না করে নিচের দেয়াল ভেঙে ফেলাকে প্রশাসনের ভুল পরিকল্পনা বলে প্রশাসনকে দায়ী করেন তারা। জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজের সংযোগ সড়ক সংস্কার করে সেতু দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কামারখাড়া ইউপি সদস্য মো. পলাশ জানান, বানের পানির স্রোতে ব্রিজের এপ্রোচ আবারো ভেঙে গেছে। আগে মানুষ পায়ে হেঁটে পারাপার হতে পারলেও এখন তাও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন নৌকা দিয়ে মানুষ পাড়াপার হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে অবহিত করলে প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় এমপি কেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন