রাস্তার দু’পাশে ফসলি মাঠের দৃষ্টিনন্দন আবহ থেকে ছুটে আসা শীতল বাতাস উপভোগ করতে আসছেন ভিন্ন এলাকার মানুষ। ৬ ইউনিয়নে প্রায় দেড় লাখ লোকের চলাচলেও ফিরেছে স্বাচ্ছন্দ। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর থেকে শ্রীকাইল হয়ে রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত ২৮ কি.মি. এ সড়কটি সংস্কারে ব্যয় হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। ১৮ ফিট চওড়া এ রাস্তাটিতে ৩০ ফুট প্রস্ত ৫টি ব্রিজও রয়েছে।
জানা যায়, ২০০৫ সালে নির্মিত ১২ ফুট চওড়া এ রাস্তাটি ৪/৫ বছর পরই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ১০/১১ বছর রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় নবীপুর পশ্চিম, যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পূর্ব, বাঙ্গরা পশ্চিম, শ্রীকাইল ও রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের কয়েক লাখ লোক চলাচল করতো মারাত্বক দুর্ভোগ নিয়ে। রাস্তাটির পিচ ওঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হলে তিন চাকার যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আলহাজ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপির অক্লান্ত চেষ্টায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত রাস্তাটি অনুমোদন করেন।
মোচাগড়া গ্রামের প্রবীন শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ রাস্তাটিতে গত বছরও যানচলাচল করতো না। যার ফলে বয়স্ক রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসায় বিঘ্ন ঘটতো। এ রাস্তাটি হওয়ার পর থেকে লোকজন এমপি আলহাজ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের প্রসংশায় পঞ্চমুখ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী উপ-প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর বলেন, ২৮ কি.মি. দীর্ঘ এ সড়কটি সংস্কারে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। রাস্তাটিতে ৩০ ফুট প্রস্ত ৫টি দৃষ্টিনন্দন ব্রিজও রয়েছে।
মাটি ও রং এর কাজ ছাড়া সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একটি রাস্তায় ৬ ইউনিয়নের মানুষের জীবন যাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন