যশোরের অভয়নগরে ধর্ষণ ও পর্ণগ্রাফি মামলায় কথিত সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগি অনিক বাঘাকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার স্কুল শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক ঘণ্টার মধ্যে অভয়নগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের বাশার মোড়লের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৪০) ও গুয়াখোলা গ্রামের নাসির বাঘার ছেলে অনিক বাঘা (২৬)কে আটক করে।
জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে সাংবাদিক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক মাহাবুব ঐ ছাত্রীর কাছ থেকে চেয়ে নেয় জম্ম নিবন্ধন ও ছবি। কিছুদিন পর ঐ শিক্ষার্থীকে বলে তোমার সাংবাদিক কার্ড হয়ে গেছে তুমি আমার মৎস্য ঘেরে এসে কার্ডটি নিয়ে যাও। সে মৎস্য ঘেরে যেতে দ্বিমত পোষণ করলে মাহবুব তাকে সাফ জানিয়ে দেয় তোমার সাংবাদিকতা করতে হবে না। পরে মাহবুবের প্ররোচণায় গত ২১ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় চলিশিয়া গ্রামের তার মৎস্য ঘেরের পাড়ে গেলে তাকে একটি নির্জন ঘরে আটকিয়ে ধর্ষণ করে। এবং আসামি তার নিজ মোবাইল দিয়ে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এ সময় ঐ শিক্ষার্থী কান্নাকাটি করলে ধর্ষক মাহাবুবুর রহমান বলে তুই এই ঘটনা কাউকে জানালে এই ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রায়ই ঐ শিক্ষার্থীকে ফোন দিয়ে নির্জন স্থানে দেখা করতে বলতো মাহবুব। দেখা না করলে ঐ ধর্ষণের ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখাত। এসব কাজে সহযোগিতা করতো অনিক বাঘা এবং ঐ অশ্লীল ভিডিওটি ডিলেট করার কথা বলে মাহবুব ও অনিক বাঘা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে ঐ অশ্লীল ভিডিও ভিকটিমের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের মোবাইলে দিয়ে দেয়। পরে তার পরিবার নিরুপায় হয়ে থানায় মাহবুবুর রহমান ও অনিক বাঘাকে আসামি করে মামলা দায়ের করে ঐ শিক্ষার্থীর মা।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি এ কে এম শামীম হাসান জানান, অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় মাহবুবুর রহমান ও অনিক বাঘাকে আটক করি।তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন