ভাদ্রের অমাবস্যায় ফুসে ওঠা সাগর আর উজানের ঢলের পানিতে সয়লাব দক্ষিণাঞ্চলের প্লাবন পরিস্থিতি বুধবারে নতুন করে আর অবনতি ঘটেনি। বৃহস্পতিবার থেকে প্লাবন পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি প্লাবিত ফসলী জমি থেকে পানি সরে যেতে শুরু করবে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে কি পরিমান ফসলী জমি প্লাবিত হয়েছে তার সঠিক কোন হিসেব অধিদপ্তর দিতে পারেনি অধিদপ্তর। আজকালের মধ্যেই মাঠ থেকে পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে বলে জানান হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলায় এবার ৭ লাখ ২৮ হাজার হেক্টরে আমন অবাদের মাধ্যমে ১৯ লাখ টন চালপ্রাপ্তির লক্ষ্য রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৫ ভাগ জমিতে রোাপা আমনের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। সাগর গত তিন দিনের তুলনায় বুধবারের কিছুটা শান্ত থাকলেও কুয়াকাটা সংলগ্ন সৈকতে এখনো ৩-৪ ফুট উচ্চতা ঢেউ আছড়ে পড়ছিল। তবে বৃহস্পতিবার থেকে সাগর উজানের পানি গ্রহন করতে শুরু করবে বলেও আশা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল মহল। এতেকরে শুক্রবার থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বণ্যা পরিস্থিতির উন্নতিও আশা করছেন কতৃপক্ষ।
বুধবার দুপুরের উপকূলীয় বিচ্ছিন্ন দ্বীপসমুহ সহ নি¤œাঞ্চলে জোয়ারে উচ্চতা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪৫ সেন্টিমাটর কম থাকলেও এখনো দক্ষিনাঞ্চলের সবগুলো নদ-নদী পানি বিপদ সীমার ২০ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা শহরের নি¤œাঞ্চল বুধবারের জোয়ারের সময়ও পানি প্রবেস করে। বরিশাল মহানগরীর মধ্যভাগের নবগ্রাম রেডে বুধবার ও দিনভরই নদীর পানি থৈ থৈ করছিল।
উপক’লের চর সাকুচিয়া, চর কুকরী-মুকরী,চর মোন্তাজ, চর নিজাম, আন্ডারচর, হরিনঘাটা, চর মিয়াজান, বড় বাইশদিয়া ও ছোট বাইশদিয়া সহ বিপুল সংখ্যক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বুধবার পর্যন্ত ৩ থেকে ৫ ফুট পানিতে নিমজ্জিত ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন