নওগাঁর মহাদেবপুরে টর্চার সেলে আটকিয়ে রেখে মিঠুন-শ্যামলী দম্পতিকে নির্যাতন ও মাথার চুল কর্তনের মূল হোতা যুবদল নেতা সেই টর্চার রুহুলকে (৩৪) আটক করেছে র্যাব। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া উপজেলার আজির মোড় শাহী মসজিদ সংলগ্ন রুহুলের শশুর বাড়ী এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
এর আগে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা গত বুধবার দিবাগত রাতে মহাদেবপুরে রুহুলের বাসা সংলগ্ন এলাকা থেকে তার অপকর্মের অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলামকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যমতে মামলার ১৯ দিন পর রাজশাহী থেকে র্যাব তাকে আটক করে শনিবার দুপুর ২টায় মহাদেবপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করে। সে উপজেলার দক্ষিণ হোসেনপুর (বোয়ালমারী মোড়) গ্রামের ইট ভাটা ও বয়লার ব্যবসায়ী মৃত আবুল কালামের ছেলে।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, বিকেলে তাকে নওগাঁ কোর্টে চালান দেয়া হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীনুল ইসলাম জানান, রুহুলকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।
উল্লেখ্য, নজিপুরের নার্সারী ব্যবসায়ী মিঠুন চৌধুরী স্ত্রী শ্যামলী রানীকে রুহুলের বাসার টর্চার সেলে চাঁদার দাবীতে তিনদিন আটকিয়ে রেখে নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে শ্যামলী রানী বাদী হয়ে গত ২৩ আগষ্ট মহাদেবপুর থানায় রুহুল, তার দুই স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, মিঠুন-শ্যামলী দম্পতির নির্যাতনের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে র্যাব তাদেরকে আটকের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। অভিযুক্ত রুহুলের বয়লারে প্রায়ই মাদক ও যৌনকর্মকান্ডের আসর বসতো। রুহুল তার প্রাইভেট কার ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে মাদকের চালান পৌঁছে দিত। এসব কাজের বিরোধিতা করলে তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হতো। মাদকের আসরে জিম্মি করে অনেকের সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়া হতো বলেও উল্লেখ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন