নওগাঁর মান্দার কোচড়া বাদলঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২১ সালের পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার নম্বরপত্র কেন্দ্র সচিব বোর্ডে না পাঠানোয় ২৭ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল ফেল আসে। এতজন ফেলার জন্য তাদের খাতা পুনঃ নিরীক্ষণের আবেদন করা হয়। খাতা পুনঃ নিরীক্ষণের কারণে অবশেষে সেই প্রতিষ্ঠানের ২২ জন শিক্ষার্থী পাশ করেন। তাদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২জন শিক্ষার্থী।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, একসাথে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা ফেল করার কারণ খুঁজতে বেরিয়ে আসে তাদের জীব বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর বোর্ডে পাঠানো হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সুবাস চন্দ্র সরকার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে তার প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন। আবেদনটি আমলে নিয়ে বোর্ড তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ করে পুনঃ নিরীক্ষণে ২২ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেন।
এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সুবাস চন্দ্র সরকার ও সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, কেন্দ্র সচিব ভুল করে আমাদের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক খাতার নম্বরপত্র আমরা পাঠানোর পরে ও তিনি বোর্ডে পাঠাননি। তার এ ভূলের কারণে আমাদের পরীক্ষার্থীদের ফলাফল আসেনি। এরপর পুনঃ নিরীক্ষণে তারা পাশ করেছেন।
সাহাপুর ডি এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব গোলাম সারোয়ার স্বপন তার কোন ভূল স্বীকার করতে নারাজ। কেন্দ্র সচিব হিসেবে তিনি তার অদক্ষতার অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর পত্র না পাঠানোর কারণে আমি পাঠাতে পারিনি। পুনঃ নিরীক্ষণে তাদের রেজাল্ট এসেছে। আপনি কেন্দ্র সচিব হিসাবে কি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সাথে এ বিষয়ে কোন রকম যোগাযোগ করেছিলেন এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর অবশ্য তিনি দিতে পারেননি।
উল্লেখ্য যে, গত ৩০ ডিসেম্বর এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় এবং গতকাল শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেদিন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত এ প্রতিষ্ঠানের ৩১ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশ হয়। তার মধ্যে মানবিক বিভাগের ৩ জন আর বিজ্ঞান বিভাগের ১ জন মানোন্নয়নসহ ২৮ জন। বোর্ডে ৪ হাজার ৭৩২টি খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা তার মধ্যে এ প্রতিষ্ঠানের ২৭ জন শিক্ষার্থী ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন