শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

স্কুল মাঠ নয় এ যেন পুকুর

মো. হাসান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

করোনা পরিস্থিতিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছে। সরকার দীর্ঘদিন পর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেয়। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মনে আনন্দের শেষ নেই, তাদের খেলাধুলার সুযোগ হবে, মাঠে খেলাধূলা করবে। আরও কত কি...
কিন্তু দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলা করার মতো সেই অবস্থা নেই। এই বিদ্যালয়ের মাঠে বছরের অর্ধেক সময় থৈ থৈ করে পানি, দেখে মনে হয় এ যেন বিদ্যালয়ের মাঠ নয়, এটি একটি পুকুর।
আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আলীপুরসহ আশপাশের তিন থেকে চারটি গ্রামের শিক্ষার্থীর একমাত্র ভরসা এ প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ২০১৪ সালে বেসরকারি থেকে সরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে তিনশতাধিক শিক্ষার্থীর রয়েছে এবং পাঁচ জন শিক্ষক দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নিচু জমি হওয়ায় বছরের অর্ধেক সময় পানিবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকে। এতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ক্রীড়া বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলা করতে না পারলে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটবে না। বিদ্যালয়ের মাঠটি ভরাট করে খেলাধূলার উপযোগী করা জরুরি।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ের আশপাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বিদ্যালয় গিয়ে নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারে, আমারা বিদ্যালয়ের গিয়ে কোন খেলাধুলা করতে পারছি না, বিদ্যালয়ের মাঠটি বছরের অর্ধেক সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকে। খেলাধুলা করতে না পারলে মন ভালো থাকে না। মন ভালো না থাকলে বিদ্যালয়ে যেতে ভাল লাগেনি।
আলীপুর গ্রামের রিয়াজ মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ থাকা স্বত্বেও পানিবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীসহ যুবকেরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠটি ভরাটের জন্য সরকারে বিভিন্ন মহলে দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি।
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনূর রশীদ বলেন, ‹আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের বিষয়ে এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে বিদ্যালয় মাঠ ভরাটের কোন অর্থ বরাদ্দ আসেনি। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন