বৈরী আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট প্রচন্ড বাতাসে কারণে হাতিয়ার মেঘনা নদীতে দু’টি মাছ ধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রলারে থাকা ১৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় ইউছুফ মাঝি নামের এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় নিখোঁজ আবুল কালাম নামের আরও এক জেলে। এদিকে নদী উত্তাল থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাতিয়ায় সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ভোরে মেঘনা নদীর ইসলাম চর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ইউছুফ মাঝি চানন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম আদর্শ গ্রামের হোসেনের ছেলে। নিখোঁজ আবুল কালাম একই এলাকার বাতেনের ছেলে।
জানা গেছে, গত শনিবার রাতে চানন্দী ইউনিয়নের চম্পাঘাট থেকে ৭জন জেলে নিয়ে মিরাজ উদ্দিনের একটি মাছ ধরার ট্রলার ও ইউছুফ মাঝির একটি ট্রলার আরও ৯জন জেলেসহ মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যায়। রোববার বিকেলে চেয়ারম্যানঘাট-ভাসানচর এলাকার মধ্যবর্তি এলাকার ইসলাম চর এলাকায় প্রচন্ড বাতাসের কবলে পড়ে ট্রলার দু’টি। এসময় ট্রলার দু’টিতে থাকা ১৪জন জেলে নিয়ে নদীতে ডুবে যায়। পরে পাশ্ববর্তী একটি ট্রলারের সহযোগিতায় ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ হন ইউছুফ মাঝি ও আবুল কালাম। গতকাল সোমবার ভোরে স্থানীয় জেলেরা ইউছুফ মাঝির ট্রলারটি উদ্ধার করলেও ট্রলারের কেভিন থেকে ইউছুফের লাশ উদ্ধার করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিরাজ উদ্দিনের ট্রলারের আবুল কালাম নিখোঁজ রয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, নিহত জেলের লাশ তার পরিবার নিয়ে গেছে। নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারকে সরকরিভাবে আর্থিক সহযোগীতা করা হবে। এছাড়া সাগর উত্তাল থাকায় সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়া ট্রলারগুলোকে স্ব-স্ব ঘাটে অবস্থান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন