বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

হাটহাজারীতে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা

চট্টগ্রাম হাটহাজারী সড়ক ঘেঁষে হাটহাজারী পৌর এলাকার এগার মাইল নামক স্থানে ১০০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও বিদ্যুৎ গ্রিড অফিস রয়েছে। হাটহাজারী সড়ক ঘেঁষে ঝুঁকিপূর্ণ একটি খুঁটি আনুমানিক দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বাঁশের ওপর ঠেশ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অথচ এই ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটিটি সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসের কোনো কর্মকর্তার নজরে আসছে না। ঝুঁকিপূর্ণ এই খুঁটিটি যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়ে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ফলে উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি যানবাহন ও যাত্রীদের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা যায়, চট্টগ্রাম হাটহাজারী সড়কের সম্প্রসারণ কাজ বিগত কয়েক বছর পূর্বে শুরু হয়। কাজের ধীরগতি হওয়ায় কাজ শেষ হতে আরো ক’বছর সময় লাগে তার কোনো হদিস নেই। সড়কের সম্প্রসারণ কাজ শুরু হওয়ার ফলে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরানোর কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সড়কের পাশের কিছু কিছু বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো হলেও পৌর এলাকার খুঁটিগুলো এখনো না সরানোর কারণে সড়ক সম্প্রসারণ কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। কচ্ছপগতিতে খুঁটিগুলো সরানোর কাজ চলছে। তবে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরানোর কাজ ধীরগতি হলেও সড়কের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। যার ফলে সড়কের মাটি কুড়ানোর কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলোর নিচের অংশ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। ফলে খুঁটিগুলো মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। পৌর এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলোকে বাঁশের ঠেশ দিয়ে রাখা হয়। যে কোনো সময় এসব বাঁশ দিয়ে ঠেশ দেওয়া বৈদ্যুতিক খুঁটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম হাটহাজারী সড়কে দৈনিক কয়েক হাজার যানবাহন ও কয়েক লাখ জনগণ চলাচল করে থাকে। যে কোনো সময় এই খুঁটি বাঁশের ঠেশ ভেঙে পড়ার আতঙ্কে রয়েছে অনেকেই। তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও বিদ্যুৎ গ্রিড অফিসের সামনে কীভাবে বাঁশ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি রাখা হয় তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বড় ধরনের কোনো তুফান বা ভূমিকম্প হলে এসব খুঁটি যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে খুটিগুলো বাঁশের ওপর ঠেশ দিয়ে রাখতে দেখা গেলেও মনে হয় এসব ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটির যেন কোনো অভিভাবক নেই। এ ব্যাপারে বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন