পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে আমলাহার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে কলেজের প্রায় ৪০টি মেহগনিগাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হলে গাছগুলো বিক্রি না করে অধ্যক্ষ তা কলেজ মাঠে ফেলে রাখেন। এছাড়া কলেজ সংলগ্ন ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বাসার সীমানার ভেতরের গাছও কাটা হয়েছে ওই অধ্যক্ষের নির্দেশে। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি বিক্রির উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ মোবারক রাতের অন্ধকারে লোকজন দিয়ে গাছগুলো কাটান। সকালে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবাদ করলে অধ্যক্ষের লোকজন গাছগুলো কলেজ মাঠে ফেলে রেখে চলে যায়। এর মধ্যেই ওই অধ্যক্ষ কৌশলে কলেজের ফার্নিচার তৈরির জন্য কার্যবিবরণী তৈরি করেন। এ ঘটনায় ওই কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ওই কলেজের একজন শিক্ষক বলেন, অধ্যক্ষ সাহেব কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই গায়ের জোরে গাছগুলো কেটেছেন। মাগুড়া ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার শর্মা বলেন, অধ্যক্ষ মোবারক সরকারি বাসভবনের সীমানার ভেতরের গাছ কেটে ফেলায় আমি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আবদুস সাত্তার ও হাসিনুর রহমান বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে সাবেক জেলা প্রশাসকের কাছে ভবন নির্মাণের কথা বলে কয়েকটি গাছ কাটার অনুমতি নিয়েছিলেন অধ্যক্ষ মোবারক। এরপর থেকে আর কোনো অনুমতি না নিয়েই আগের অনুমতির অজুহাতে তিন দফায় গাছগুলো কেটে সাবাড় করেছেন তিনি। আমরা কমিটির লোক কিছুই জানি না। ওই অধ্যক্ষ এর আগেও উপাধ্যক্ষ নিয়োগেও মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন ও ওই বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি আবেদনও করা হয়েছিল। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মোবারক বলেন, ‘আমি অনুমতি নিয়েই গাছ কেটেছি।’ আমলাহার ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ ম-ল বলেন, আমার জানা মতে আমি কলেজের গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেইনি। এর আগের কোনো অনুমতি আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন