শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

মির্জাপুরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিদ্যুতের লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়া ছাড়াও জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে বলে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানিয়েছেন। এ উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং নতুন ঘটনা নয়। বিগত ২/৩ বছর ধরে প্রতিদিন ২/৩ ঘণ্টা লোডশেডিং হলেও বর্তমানে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ ধরে গড়ে প্রতিদিন ৬ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানা গেছে। সোমবার দিনের বেলাতেই প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা লোডশেডিং হয় বলে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে। এ উপজেলার বাঁশতৈল নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বিএসসি, পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের ফরহাদ হোসেন ফটিক, উয়ার্শী ইউনিয়নের নগর ভাদগ্রাম গ্রামের রায়হান মোল্লাসহ প্রমুখরা জানান তাদের এলাকায় গড়ে প্রায় প্রতিদিন ১০/১২ ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও গোড়াই শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু জানান, তার এলাকাতেও গত কয়েকদিন ধরে ৭/৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। ভয়াবহ এই লোডশেডিংয়ে টাঙ্গাইলের একমাত্র শিল্পাঞ্চলখ্যাত এ উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের মিলকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হওয়া ছাড়াও ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এছাড়া এই ভ্যাপসা গরমে শিশুরা সর্দিকাশিসহ নানা প্রকার ঠা-াজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ভয়াবহ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সুশান্ত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মির্জাপুরে ৯০ হাজার গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৩২ মেগাওয়াট। কিন্ত সরবরাহ করা হয় ২০ থেকে ২৪ মেগাওয়াট। কোন কোন সময় বিদ্যুৎ আরও কম সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এতে সাম্প্রতিক সময়ে লোডশেডিং কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন