শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

উদ্বোধনের পাঁচ মাসেও চালু হয়নি

হাটহাজারীতে ১২ কোটি টাকার ট্রমা সেন্টার

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ট্রমা সেন্টার উদ্বোধন হলেও নেই কোনো চিকিৎসক। প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয় ট্রমা হাসপাতাল। উদ্বোধন করেন হাটহাজারীর এমপি সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ট্রমা হাসপাতাল উদ্বোধন করা হলেও হাসপাতালের জন্য এখনো কোনো জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও। এসব কারণে এখনো চালু করা যায়নি ১০ শয্যার বিশেষায়িত এই হাসপাতাল। স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন ট্রমা সেন্টার এ নির্মাণ করা হচ্ছে (ক) ৫তলা ভিত্তিকসহ ৩তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন। (খ) ৫তলা ভিত্তিকসহ ৩তলা বিশিষ্ট কনসালন্টেন্ট/মেডিকেল অফিসার ডরমিটরি (প্রতি ফ্লোরে ২ ইউনিট করে মোট ১০টি ইউনিট। (গ) ৫তলা ভিত্তিকসহ ৫তলা বিশিষ্ট স্টাফ ডরমিটরি (প্রতি ফ্লোরে ২টি মোট ১০ ইউনিট।
ট্রমা সেন্টারটি উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়িবাসীসহ পার্বত্য এলাকার লোকজন চিকিৎসা সেবা পাবে। চট্টগ্রাম-হাটহাজারী, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়ক মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। এখানে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা হাসপাতাল থাকলেও দুর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেয়ার মতো প্রয়োজনীয় জনবল ও ব্যবস্থা নেই। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা পেতে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। এসব রোগীর জন্য ট্রমা সেন্টার জরুরি।
সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি সড়ক দুর্ঘটনা আহতদের চিকিৎসার্থে হাটহাজারীতে ট্রমা সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মো. ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন, নির্ধারিত জনবল ও যন্ত্রপাতি না থাকায় হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।
ইউএনও শাহিদুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। এ কারণে মহাসড়কটিতে প্রচুর গাড়ি চলাচল করে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত লোকজন যাতে সময়মতো চিকিৎসাসেবা পান, সে জন্য চট্টগ্রাম ও দুই পার্বত্যএলাকার মাঝামাঝি স্থানে ট্রমা সেন্টারটি
নির্মাণ করা হয়েছে। অচিরেই হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি আশা করেন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, এ ট্রমা সেন্টারটি চালুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। করোনাকালিন দায়িত্বশীলরা ব্যস্ততার কারণে ট্রমা হাসপাতালটি এখনো চালু করা হয়নি। অচিরেই জনবল নিয়োগ হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন