শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

জয়পুরহাটের মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা

জয়পুরহাটের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (সেকায়েপ)’র কৃতী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দিপনা পুরস্কারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর ছাত্রছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায় জয়পুরহাট কালাই উপজেলার মোসলেমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩২ জন কৃতী ছাত্রছাত্রী ২০১৫ সালে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (সেকায়েপ) ওই ছাত্রছাত্রীদের উদ্দিপনা পুরস্কার বাবদ প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে মোট ৩২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। ওই উদ্দিপনা পুরষ্কারের অর্থ বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর নিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ৩ কর্মকর্তার বিতরণ করার কথা থাকলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই টাকার মধ্যে গত ২৬ জুন তারিখে মাত্র ৯ জন ছাত্রছাত্রীকে তাদের নামে বরাদ্দকৃত ৯ হাজার টাকা চুপিসারে অগ্রণী ব্যাংক মাত্রাই শাখায় নিয়ে গিয়ে প্রদান করেন। বাকি অর্থ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও অগ্রণী ব্যাংক মাত্রাই শাখার ম্যানেজার অজিত চন্দ্র দেবনাথ যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বঞ্চিত ২৩ জন ছাত্রছাত্রী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের নিকট মৌখিক অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের বলেন, তোমাদের নামে কোন পুরস্কার নেই। এর কয়েকদিন পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে ওই বঞ্চিত ছাত্র/ছাত্রীরা বিষয়টি তাকে জানায়। তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবেন বলে ছাত্রছাত্রীদের আশ্বস্ত করেন। পরবর্তীতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা বিষয়টি সমাধানের জন্য ২০ জনের স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রদান করে। এ ব্যাপারে কালাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সংশ্লিষ্ট ফান্ডে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ওই ২৩ জন ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কারের টাকা দেয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ফান্ড পাওয়া সাপেক্ষে তাদের পুরস্কারের টাকা দেওয়া হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা অজিত চন্দ্র দেবনাথের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ফোনে চার্জ নেই বলে ফোন কেটে দেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আব্দুর রহিম জানান, আবেদনের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন