আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সময় রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কোটি কোটি ডলারের ক্ষতির শিকার হয়েছে।
কাবুল বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মৌলভি আবদুল হাদি হামাদান আনাদুলু অ্যাজেন্সিক বলেন, কেবল বিমানবন্দরের টার্মিনালের ক্ষতির পরিমাণই ১০ লাখ ডলার।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের রাডার সিস্টেম, কয়েকটি বিমান ও গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পুরো হিসাব করা গেলে তা কয়েক কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে।
তিনি বলেন, মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরের কারিগরি এলাকা ও টার্মিনালে ব্যাপক ক্ষতি করে যায। তারা এমনকি বিমানবন্দরের হলগুলোর চেয়ার, সিট, টিভি সেট, কম্পিউটারের মতো ছোটখাট জিনিসও ছাড় দেয়নি।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের কারিগরি সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো আবার শুরু হয়েছে।
হামাদান জোর দিয়ে বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে কাবুল বিমানবন্দরে বিমান আসতে শুরু করেছে। তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও বাহরাইন থেকে আফগান জনসাধারণের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে বিমান নেমেছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু করা, আফগান জনগণ ও এখানে থাকা বিদেশীদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো চালু হওয়া মাত্র নতুন তালেবান প্রশাসন বিশ্বের সাথে সুষ্ঠু কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে।
তালেবান ১৫ আগস্ট যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। গত সপ্তাহে তারা ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা গঠন করে।
সূত্র : ইয়েনি সাফাক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন