আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা তালেবান। দেশটি থেকে বিদেশি সেনা সরে যাওয়ার পর সরকার হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে তালেবান। তবে এখনো তারা কোনো দেশের স্বীকৃতি আদায় করতে পারেনি।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদকে তার গোষ্ঠীর নীতি বা কোন দেশ বৈধতা প্রদানের বিলম্বের জন্য দায়ী কিনা তা ব্যাখ্যা করতে বললে তিনি বলেন, 'বিদেশি দেশগুলোর স্বীকৃতির বিষয়টি দেখা হলে আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় বাধা'। খবর ভয়েস অব আমেরিকার
তালেবানের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোকে এই দিকে যেতে দেয় না এবং নিজেও এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।'
মুজাহিদ দাবি করেন, তালেবান তাদের সরকারকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য 'সমস্ত প্রয়োজনীয়তা' পূরণ করেছে।
তিনি জোর দিয়েই বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল দেশকে বুঝতে হবে যে তালেবানের সাথে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় রয়েছে সকলের স্বার্থ। এটি বিশ্বকে আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানের সাথে তাদের 'অভিযোগ' নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ করে দেবে।
মুজাহিদ জোর দিয়েই বলেন যে, তালেবান নেতারা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় স্বাক্ষরিত চুক্তির সাথে সঙ্গতি রেখে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভালোভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চায়। ওয়াশিংটনকে কাবুলের সাথে আরও ভাল সম্পর্ক স্থাপনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে ।
তিনি বলেন, আমরা শত্রু ছিলাম এবং যতদিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান দখল করেছিল ততদিন তার সাথে যুদ্ধ করছিলাম। সেই যুদ্ধ এখন শেষ হয়েছে।
মুজাহিদ দাবি করেছেন যে, আল-কায়েদা বা এর কোনো সদস্যই আফগানিস্তানে উপস্থিত নেই, বলেছেন যে তারা সবাই ২০০১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক আক্রমণের পর তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন