বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

জনবল সঙ্কটে সেবাবঞ্চিত রোগীরা

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ওটি বন্ধ সাত বছর : ১৬ বছর ধরে চালু করাই সম্ভব হয়নি এক্স-রে মেশিন : আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন আছে চিকিৎসক নেই

আনোয়ার জাহিদ, ফরিদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সঙ্কটে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) গত সাত বছর বন্ধ। আর ষোল বছর ধরে চালু করাই সম্ভব হয়নি এক্স-রে মেশিনটি। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হলেও দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন হয়নি। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী রোগী ও রোগীর স্বজনরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৭ মে অপারেশন থিয়েটার চালুর পর ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট এটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে আর চালু করা সম্ভব হয়নি। অপারেশন থিয়েটারে কার্যক্রম চালু করার জন্য অনুমোদিত পদের বেশির ভাগই শূন্য। গাইনি কনসালট্যান্ট, এনেস্থিসিয়া, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), মেডিটেক রেডিওলোজির মত গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তার সুফল মিলছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা।
এদিকে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে এক্স-রে মেশিনটি পাওয়ার পর ষোল বছরেও চালু করা যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০০৫ সালের ৯ জুন কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে এই এক্স-রে মেশিন (৩০০ এম/এ) প্রাপ্ত হলেও তা একদিনের জন্যও সচল করা সম্ভব হয়নি। মেশিনটি পাওয়ার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মেশিনটি স্থাপনের জন্য তাগিদ দেয়। এক পর্যায়ে মেশিনটি প্রাপ্তির দুই বছর পর ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়। কিন্তু স্থাপনের পর ‘ইনটেন্সি ফাইন স্ক্রিন’ না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি কার্যকর হয়নি। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান মিয়া ইনকিলাবকে বলেন, এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন নষ্ট ছিল। নতুন একটি এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এটি চালু হবে। গাইনি ও সার্জারী বিশেষজ্ঞ এবং এনেসথিওলজিস্টের অভাবে বর্তমানে সকল প্রকার অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এসব পদে চিকিৎসক পদায়ন করা হলে আমরা অপারেশনের জন্য প্রস্তুত।
তিনি আরো বলেন, জনবল সঙ্কটের কারণে হাসপাতালে কর্মরত খণ্ডকালীন ৮জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়ার বেতনও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. সহদেব রাজবংশি ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি দু:খজনক। এ ব্যাপারে আমি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন