ফটিকছড়ির নারায়ণহাট ইউপির দুর্গম জনপদ হাপানিয়া-উত্তর সুন্দরপুর সংযোগ সড়কে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ ফুট লাম্বা নির্মিত একটি সেতু একিভূত করলো দুই গ্রামকে। এ সেতুটি নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মরহুম ড. মাহমুদ হাসানের নামানুসারে এ সেতুর নাম রাখা হয় ‘ড. মাহমুদ হাসান সেতু’। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেতুর উদ্বোধন করেছেন। এ সময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার সাব্বির ইকবাল, জেলা পরিষদ সদস্য ও মরহুম ড. মাহমুদ হাসানের পুত্র আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ, এড. উম্মে হাবিবা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সুন্দরপুর-হাপানিয়া সড়কে সেতু নির্মাণ ওই এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি ছিল। যা স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাস্তবায়ন হলো। সেতুটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘ দিনের আকাঙ্খা পূরণ হয়েছে। সুন্দরপুর গ্রামের এক স্কুল শিক্ষক জানান, এখানে আগে কাঠের সেতু ছিল, সেটি দিয়ে বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এখন বর্ষা মৌসুমেও স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সহজে যাতায়াত করতে পারবে। এলাকার এক কৃষক জানান, সেতুটি নির্মাণের ফলে গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্য এখন খুব সহজেই বাজারে নেয়া যাবে।
নারায়ণহাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশীদ বলেন, আমরা অনেক খুশি। জেলা পরিষদ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে। সেতুটি নির্মাণের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী- চাকরিজীবী সবাই লাভবান হবে।
জেলা পরিষদ সদস্য আখতার উদ্দিন মাহমুদ বলেন, হাপানিয়া ও সুন্দরপুর গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি সেতু। তিনি সেতুটির উন্নয়নে বরাদ্দ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন