নীলফামারীর ডিমলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আলমগীর হোসেনকে(২৪) মৃত্যুদন্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন-২ আদালতের বিচারক মো: মাহবুবার রহমান। মঙ্গলবার দুপুরে আসামীর উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় অপর ছয় আসামীকে বেকুসর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন ২০১৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি গ্রামের খতিবর রহমানের মেয়ে সুমি আকতারকে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করে। মেয়ের বিয়েতে খতিবর রহমান যৌতুক হিসাবে দেড় লক্ষ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। বিয়ের পর জামাইকে অটো কেনার জন্য তিনি এক লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৫০ হাজার টাকার জন্য আলমগীর হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন প্রায়ই সুমি আকতারকে মারধর করে আসছিল। ঘটনার দিন ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর রাতে আলমগীর হোসেন ও তার পরিবারে লোকজন সুমি আক্তারকে বেদম মারপিটের পর তার শরীরে আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে সুমির বাবা খতিবর রহমান বাদী হয়ে আলমগীর হোসেন, তার বাবা-মাসহ ৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আলমগীর হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে তার মৃত্যুদন্ড ও ২০হাজার টাকার অর্থ দন্ডের রায় প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন