আব্দুস ছালাম খান, লোহাগড়া (নড়াইল) থেকে
উপজেলার লোহাগড়া- লাহুড়িয়া সড়কের বেহাল দশা। পাকা সড়কের পিচ খোয়া উঠে সড়কে বড় বড় খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের পদস্থ ব্যক্তিরা এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলেও মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেউ। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার উত্তরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়ন ও মাগুরা জেলার সাথে লোহাগড়ার যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। লাহুড়িয়া থেকে প্রতিদিন ঢাকার গাড়িসহ জেলা সদরে যোগাযোগের জন্য লেগুনা, টেম্পু, মাইক্রোবাস চলাচল করে। লোহাগড়া থেকে লাহুড়িয়া ২৫ কিমি সড়কের অধিকাংশ জায়গা বেহাল দশা। এর মধ্যে জয়পুর স্ট্যান্ড থেকে সামান্য গেলেই দেখা যায় একটি কালভার্ট ভেঙে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর নারান্দিয়া, মানিকগঞ্জ বাজার, রামকান্তপুর, বাতাসী, কাশিপুর ও মাকড়াইল থেকে লাহুড়িয়া পর্যন্ত বড় বড় খানা খন্দকে প্রায়ই যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে মাকড়াইল থেকে লাহুড়িয়া পর্যন্ত সড়ক একেবারেই চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কখনো কখনো গাড়ি উল্টে দীর্ঘ সময় রাস্তা বন্ধ থাকে। এ সড়কে মোটরসাইকেলে নিয়মিত চলাচলকারী লাহুড়িয়া গ্রামের শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান ও আলম হুসাইন জানান, সড়কে অন্য যানবাহন তো দূরের কথা-বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেলে যাতায়াতই কঠিন হয়ে পড়েছে। এক ঘণ্টার পথ এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় দু‘ঘণ্টায় যেতে হচ্ছে। টেম্পু চালক কামরুল ইসলাম জানান, সড়কের অবস্থা এতোটাই খারাপ যে অধিকাংশ জায়গায় যাত্রী নামিয়ে গাড়ি পার করতে হয়। আর এক ঘণ্টার পথ যেতে সময় লাগছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। এছাড়া গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে প্রায়ই রাস্তায় পড়ে থাকতে হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ এ রাস্তায় নিয়মিত যাতায়াত করেন লাহুড়িয়া গ্রামের বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক বি আরটিএর চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান এবং তার স্ত্রী সাবেক মহিলা এমপি ফরিদা রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান রুনু, নোয়াগ্রামের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুর আমির লিটু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও পদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা দেখেও কেউ মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সড়কের বেহাল দশা থেকে জরুরিভাবে মুক্তি পেতে চায় ভুক্তভোগীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন