প্রায় ১৮ বছর পূর্বে সেতুটি নির্মাণ করেছিলেন, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ২ বারে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ। তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সেতুটি নির্মাণ করলেও নির্মাণ করতে পারেননি সেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়ক। ফলে ১৮ বছর ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই এলাকার কৃষকসহ জনসাধারণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, লামাকাজি ইউনিয়নের ইসবপুর, বারো জাঙ্গাল এলাকার রাস্তায় এই সেতুটি নির্মিত করা হয়েছিল। লামকাজি ইউনিয়নের ইসবপুর, শাখারিকোনা, রায়পুর, টিমাইঘর, দুয়ারীগাঁও, মুন্সিরগাঁও, এওলারপারসহ এই কয়েক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের বিকল্প চলাচলের রাস্তা এটি। রাস্তার দুুু’পাশে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি রয়েছে অগ্রহায়ণ ও বৈশাখ মাসে কয়েক শতাধিক একর জমি ফসল কেটে কৃষকরা কলা গাছের ভেলা, নৌকা কিংবা মাথায়, কাধে করে কাটা ধান বাড়িতে নিয়ে যেতে হয়। প্রথমিক পর্যায়ে কৃষকরা কাটা ধান এই রাস্তায় জমায়েত করে রাখতেন এবং এখানে মাড়াই করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুুবিধার্থে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ দেড় যুগেও রাস্তাটি পানির ডেউয়ে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এখন রাস্তার অস্তিত্ব বলতে ঝুলন্ত একটি ব্রিজ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কার বা পাকাকরণের জন্য কারো কোন মাতা ব্যাথা নেই। রাস্তাটি পাকাকরণ করা হলে ইসবপুর, শাখারিকোনা, রায়পুর, টিমাইঘর, দুয়ারীগাঁও, মুন্সিরগাঁও, এওলারপারসহ গ্রামের লোকজনের চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, সেতুটির দু’পাশে সংযোগ সড়ক থাকলে এই এলাকা অনেকটা উন্নতি হতো। তাছাড়া কৃষি কাজের জন্য হাল চাষের গরু বা ট্রাক্টর, মাড়াই মেশিন গাড়ি সহজে জমিতে নিয়ে যাওয়া যেত এবং বর্ষার মৌসুমে ফসল দ্রুত যথা স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্বব হতো। যেহেতু এই অঞ্চল কৃষি নির্ভরশীল এলাকা তাই সেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়ক হলে যাতায়াতের সুবিধাসহ নানা উপকার পাওয়া যেত। বিশেষ করে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে ব্যাপক সুবিধা পেতেন।
এ ব্যাপারে লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া ইনকিলাবকে বলেন, যে স্থানে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে, সেদিকে মানুষ চলাচলের কোন রাস্তা নেই, যাতায়াতও নেই। কেন এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে তা আমার জানা নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, রাস্তাটি এখনও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অধীনে। যে কোন মাটি ভরাটের কাজ বা রক্ষণা-বেক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব। উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা মিলন কান্তি বায় (অতিরিক্ত) জানান, বর্ষার মৌসুম শেষ হলেই মাটি কেটে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন