নাসিরুল নামক এক যুবককে গাছে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে গত শনিবার বিকেলে উপজেলা প্রধান ফটকের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এলাকাবাসী মানবন্ধনের আয়োজন করে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি গ্রামে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, সম্পর্ক করে বিয়ে করার অপরাধে নির্যাতনে শিকার হতে হলো নাসিরুলকে। ভাংবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে নাসিরুলের একই গ্রামের করিমুলের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেম ছিল। সম্পর্কের টানে উভয় কোর্টে এভিডেভিড করে কাজির মাধ্যমে বিয়ে করে। পরে তারা ঢাকায় পাড়ি জমায়। ঢাকা শহরে বেশ কিছুদিন থাকার পর মেয়ের অভিভাবক তাদের কৌশলে বাড়িতে নিয়ে আসে।
হঠাৎ গত ২০ সেপ্টেম্বর ভাংবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের কাঠাল গাছে বেধে নাসিরুলের ওপর নির্যাতন চালায়। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাণীশংকৈল হাসপাতাল হয়ে দিনাজপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে পুলিশের। তারা গত শুক্রবার দুপুরে ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নির্যাতিত যুবক নাসিরুল ইসলামের শাশুড়ি সেলিনা আকতারকে গ্রেফতার করে গত শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁও আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এনিয়ে নাসিরুলের পিতা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে সেলিনা আক্তারসহ ৫ জনকে আসামি করে গত শুক্রবার রাতে রাণীশংকৈল থানায় মামলা দায়ের করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভসহ মানববন্ধন করেছে। এ প্রসঙ্গে থানার ওসি এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন মামলার পর মেয়ের মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি মন্তব্য করে বলেন, মেয়েটি নাবালিকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন