পানিবদ্ধতায় সাতক্ষীরার ৭৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারেনি। পাঠদান থেকে বিরত থাকতে হয়েছে তাদের। যদিও ইতোমধ্যে পানি কমে যাওয়ায় কিছু প্রতিষ্ঠান গত ২৬ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হলেও পানিবদ্ধতার কারণে এখনো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজসহ ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। স্কুলের মাঠগুলোতে কোমর পানি এবং শ্রেণিকক্ষগুলোতে পানি থৈ থৈ করে বিগত কয়েকদিন ধরে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানিবদ্ধতার কারণে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে গত বুধবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জেলা পর্যায়ে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়য়র কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য প্রেরণ করা হয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে কর্মকর্তারা সরেজমিন সাতক্ষীরায় আসেন। তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, পানিবদ্ধতার কারণে তালার ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোনালী টেকনিক্যাল কলেজসহ প্রায় ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তালা সদর ইউনিয়নের কয়েকটি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেশরা ইউনিয়নের ১৭৫নং ডুমুরিয়া পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৬০নং দক্ষিণ শাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৪০নং দক্ষিণ হরিহরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫২নং উত্তর শাহাদাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিণখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
খেশরা ইউনিয়নের ১৭৫নং ডুমুরিয়া পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম লিয়াকত হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক জানান, বৃষ্টিতে স্কুলের ভেতরে পানি প্রবেশ করে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছিলো।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, ভারী বৃষ্টিতে একটি কলেজসহ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একারণে কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করানো সম্ভব হয়নি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে জেলা সদর, তালা, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবদ্ধতার শিকার হয়। এখনো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ও মাঠে পানি জমে রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হয়েছে। পানিবদ্ধতার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন এবং সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন