শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হাসপাতাল গেটে তালা লাগিয়ে মালিকের গা-ঢাকা

প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) উপজেলা সংবাদদাতা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দামুড়হুদা (প্রাঃ) হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রহিমা খাতুন (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দুই সন্তানের জননী রহিমা খাতুন উপজেলার নুতন বাস্তপুর গ্রামের মোহম্মদ আলীর মেয়ে। গত রোববার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাজারের শত শত লোক জড়ো হয়ে দামুড়হুদা (প্রাঃ) হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় একের পর এক রোগী মারা যাওয়ায় হাসপাতাল বন্ধসহ চিকিৎসকের বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। মৃত রহিমার পিতা মোহাম্মদ আলী জানান, রোববার বিকালে তার মেয়ে দুই সন্তানের জননী রহিমা খাতুনের পিত্তথলির পাথর অপারেশনের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দামুড়হুদা (প্রাঃ) হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন রহিমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেন। এরপর হাসপাতালের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন অপারেশনের জন্য তড়িঘড়ি শুরু করে। এসময় রহিমার স্বামী বক্তিয়ার হোসেন তার স্ত্রী দুর্বল থাকায় দুই দিন পর অপারেশন করার কথা বলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বক্তিয়ারের কথায় কর্ণপাত না করে তার অসম্মতিতেই বিকাল ৪টার দিকে দর্শনা মডার্ণ ক্লিনিকের মালিক ডাঃ তরিকুল আলমকে ডেকে তাকে দিয়ে রহিমার অপারেশন সম্পন্ন করে। অপারেশনের ঘন্টাখানেক পর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে স্যালো ইঞ্জিনচালিত করিমন যোগে ডাঃ তরিকুলের দর্শনাস্থ মর্ডান ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে নেয়ার পর রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হলে মুমূর্ষ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় রহিমা মারা যায়। রোগীর মৃত্যুর খবর শুনে দামুড়হুদা (প্রাঃ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের গেটে তালা লাগিয়ে সটকে পড়ে। এদিকে ডাঃ তরিকুল একজন সার্জন না হয়েও নিজ ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থানে কিভাবে নানা ধরনের অপারেশন করেন এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। উল্লেখ্য, গত ছয় মাসে কর্তৃপক্ষের অবহেলার আর অপচিকিৎসার কারনে ওই হাসপাতালে ৩ জন রোগী মারা যায়। এসব ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বার বার হাসপাতাল বন্ধসহ চিকিৎসকের বিচারের দাবি জানিয়ে আসলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ডাঃ তরিকুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে উভয়ের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন