বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রাতের আঁধারে স্বপ্না খাতুন নামে গৃহবধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল ভোর রাত ৪টার দিকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামী বাহেছ আলীকে আটক করেছে। সে ধুনট উপজেলার সদর ইউনিয়নের চালাপাড়া গ্রামের মৃত মোতরাজ আলীর ছেলে। স্থানীয় লোকজন জানায়, বাহেছ আলী পেশায় একজন চা বিক্রেতা। গত শুক্রবার রাতে বাহেছ আলী তার দোকানে ঘুমায় এবং তার স্ত্রী স্বপ্না খাতুন ও তার এক মেয়ে বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিল। গতকাল ভোর রাত ৩টার দিকে বাহেছ আলী তার স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে দোকানে এসে পরোটা ভাজার জন্য আসতে বলে। এরপর স্বপ্না খাতুন স্বামীর কথা মতো তার পিছু পিছু দোকানের দিকে যেতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পরেই বাহেছ আলীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা সেখানে গিয়ে গৃহবধূ স্বপ্নাকে পেটের ভূড়ি বের হওয়া অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। তখন বাহেছ আলী চিৎকার করে বলতে থাকে, তার ছোট ভাই বেলাল তার স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে গেছে। এরপর স্থানীয় লোকজন ও বাছের আলী গুরুতর অবস্থায় স্বপ্না খাতুনকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় আমজাদ হোসেন ও চাঁন মিয়া জানায়, বাহেছ আলীর সঙ্গে তার ভাই বেলাল হোসেনের জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। হয়তো ভাইকে ফাঁসাতেই নিজের ঘুমন্ত স্ত্রীকে ডেকে এনে হত্যা করেছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানায়, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তু‘তি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন