মোবায়েদুর রহমান
তাহলে কি অবশেষে সার্কের অপমৃত্যু ঘটতে চলেছে? যেটা ঘটতে যাচ্ছে সেটিকে কি অপমৃত্যু বলব? নাকি পরিকল্পিত হত্যাকা- বলব? ঘটনাগুলোর উৎপত্তি ঘটেছে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে গণঅভ্যুথানকে কেন্দ্র করে। এই গণঅভ্যুত্থানে ৯০ জন সংগ্রামী কাশ্মীরি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত সমগ্র কাশ্মীরে দুই মাস ধরে লাগাতার হরতাল পালিত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৯০ জন নিহত হওয়া ছাড়াও প্রায় ৮ হাজার নিরীহ মানুষ আহত হন। এই ধরনের ভয়ঙ্কর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অবশ্যম্ভাবী পরিণতিতে সমগ্র কাশ্মীরে প্রবল গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এই গণঅভ্যুথান ও গণবিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে উরির সেনা ঘাঁটিতে হামলা হয় এবং হামলায় ১৮ জন ভারতীয় সৈন্য মারা যায়। এ ঘটনার পর ভারত দেশি ও বিদেশি মহলে তুমুল শোরগোল তোলে। ভারতের এই শোরগোলের ফলে মূল ইস্যু অর্থাৎ কাশ্মীরের স্বাধীনতার ইস্যুটি কার্পেটের তলে চলে যায় এবং বিশ্বব্যাপী ওই ১৮ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনা লাইমলাইটে চলে আসে। তারপর শুরু হয় বাগ্যুদ্ধ। এই বাগ্যুদ্ধের সময় কোনো কোনো দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল আশঙ্কা করে যে, ওই তর্কযুদ্ধ দুটি দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের রূপ নেয় কিনা। তবে একাধিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা প্রথম থেকে বলতে থাকেন যে, পরিস্থিতিকে যতই গরম করা হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত দুটি দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ লাগবে না। তবে দুটি দেশের মধ্যে মাঝে মাঝেই ছোট ছোট সীমান্ত সংঘর্ষ হবে। এ ধরনের সীমান্ত সংঘর্ষ চির বৈরী এই দুটি দেশের মধ্যে হামেশাই লেগে রয়েছে।
এর মধ্যে কয়েক সপ্তাহ সময় পার হয়ে গেছে। যুদ্ধের আশঙ্কা তিরোহিত হয়েছে। কিন্তু ভারত এসব ঘটনাকে পুঁজি করে প্রথমে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের বৈঠক বানচাল করেছে। আগামী মাসের ১০ ও ১১ তারিখে পাকিস্তান এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনাকর সম্পর্কের অজুহাত দেখিয়ে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে ভারত যোগদানে অস্বীকৃতি জানায়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে সার্কের সনদে এই মর্মে বিধান রয়েছে যে, শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যে কোনো একটি দেশ যোগদান করতে অস্বীকার করলে ওই সম্মেলন আর অনুষ্ঠিত হতে পারবে না। ভারত এই সম্মেলন বর্জন করার সাথে সাথেই বাংলাদেশও ভারতকে অনুসরণ করে। অর্থাৎ বাংলাদেশও সম্মেলনে যোগদান করা থেকে বিরত হয়। তারপর নেপাল, ভুটান যথারীতি ভারতের অনুগমন করে।
এরপর থেকেই ভারতে শুরু হয় সার্কের ইমেজ নষ্ট করার প্রক্রিয়া। সরকারের নেপথ্য মদদে বেসরকারি ও আধা সরকারি কয়েকটি সংস্থা সার্কের বিরুদ্ধে লিখতে এবং বলতে শুরু করে। ভারতের ‘রূপান্তর জাতীয় ইনস্টিটিউট’ নামক একটি সংগঠন সার্কের নাম নিয়ে টিটকারি দেয়। তার টিটকারি মতে, সার্ক অর্থ আঞ্চলিক সহযোগিতা বা রিজিওনাল কো-অপারেশন নয়, ‘আঞ্চলিক মোকাবেলা’ অর্থাৎ ‘রিজিওনাল কনফ্রন্টেশন’। সংগঠনটি এই মর্মে সুপারিশ করে যে, সার্কের নতুন নাম দেয়া হোক- ইইওঘ এবং ইঈওগ। বাংলাদেশে কাজ করা একজন প্রাক্তন ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশকে এই মর্মে নসিহত করেছেন যে, আপনারা সার্কের কথা ভুলে যান এবং অন্যান্য যেসব উপ-আঞ্চলিক জোট রয়েছে সেগুলোতে মনোযোগ দিন। এই ব্যক্তির নাম পিনাকি চক্রবর্তী।
এ ধরনের আওয়াজ তোলার পর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ভারত বর্জন করার ফলে স্থগিত হয়ে যায়। এটি ছিল ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। অথচ সার্কের সনদ অনুযায়ী যদি প্রতি বছরই সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতো তাহলে এটি হওয়ার কথা ছিল ২৯তম শীর্ষ সম্মেলন। অথচ সেখানে ১৯ নং সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারল না। এর অর্থ হলো এই যে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সার্কের ১৩টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। এর মধ্যে এবারের সম্মেলন ধরে ৫টি সম্মেলন ভারতের কারণে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। অতীতে সম্মেলন একাধিকবার স্থগিত হয়েছে সত্য, তাই বলে কেউ কখনো সার্ক বিলুপ্ত করার কথা বলেনি। এমনকি ১৯৯৯ সালে কারগিলকে নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে সীমাবদ্ধ যুদ্ধ হয় তখনও সার্ক বাতিল করার কোনো আওয়াজ ওঠেনি। তাহলে আজ কেন কথা উঠল? আসল কারণটি হলো ভারতের অধিকাংশ ‘সুশীলের’ মানসিকতা এখন উগ্রবাদী হয়ে উঠেছে। তারা আর আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভারতের এনার্জি ক্ষয় করতে চান না। তারা দেখতে চান, ভারত পরাশক্তির মর্যাদায় উন্নীত হোক এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ তার তাঁবেদারি করুক।
॥ দুই ॥
সার্কের একটি ইতিবাচক দিক হলো এই যে, বর্তমান পরাশক্তি এবং অতীতের অপর একটি পরাশক্তি, অর্থাৎ আমেরিকা ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নÑ এদের কেউই প্রচ্ছন্ন বা প্রত্যক্ষভাবে সার্কের জন্মের জন্য ভারত বা পাকিস্তান কাউকেই কোনো চাপ দেয়নি। এমনকি সার্কের প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত এবং পাকিস্তানও কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। সার্ক ছিল বাংলাদেশের ব্রেন চাইল্ড বা মস্তিষ্ক জাত চিন্তাধারার ফসল। এটির উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এ জন্য তিনি সার্কভুক্ত দেশসমূহে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন। এসব দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন। এসব প্রচেষ্টার ফলশ্রুতি হলো সার্ক। অবশ্য শুরু থেকেই সার্ক গঠন নিয়ে ভারতের মনে একটি ভিত্তিহীন সংশয় ছিল। তার সন্দেহ ছিল যে, দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশগুলো মিলে ভারতের বিরুদ্ধে কোনো জোট পাকাচ্ছে কিনা। আজ বিমস্টেক, ব্রিক্স বা এসএজিকিউ (ঝড়ঁঃয অংরধহ এৎড়ঃিয ছঁধফৎধহমষব)-এর মতো যত উপ-আঞ্চলিক জোট গঠন করা হোক না কেন সবগুলোর প্যারেন্ট সংগঠন হলো সার্ক। আজ ভারতের আঞ্চলিক পরাশক্তি হওয়ার পথে প্রধান বাধা হলো পাকিস্তান। তাই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য ভারত বলি দিচ্ছে সার্ককে।
ভারতের উচ্চাকাক্সক্ষা যাই হোক না কেন, বড় প্রশ্ন হলো তার এই উচ্চাকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে কিনা। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন একটি বক্তব্য দিয়েছেন, যা চিন্তাশীল মানুষকে বিস্মিত করেছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনো যুদ্ধ লাগলে বাংলাদেশ ভারতের পক্ষে থাকবে। তিনি আরও বলেছেন, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ভারতের পাশে থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সৈন্য পাঠাবে। আমরা জানি না, অতি সম্প্রতি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে ছিল তখন বাংলাদেশের জনমত কোন দিকে ছিল সে সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াকেবহাল ছিলেন কিনা। আরও অবাক ব্যাপার হলো এ ধরনের নীতিগত বক্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ থেকে নয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ থেকে আসার কথা।
॥ তিন ॥
ভারত সার্কের তিরোধান চায় বলে বাংলাদেশও কি চাইবে যে মহাপ্রস্থানের পথে হাঁটুক সার্ক? আমরা সঠিক জানি না। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় সে রকমই মনে হয়। যদি আওয়ামী লীগ সরকার সত্যিই সে রকম কোনো স্ট্যান্ড নেয়, তাহলে সেটি হবে আওয়ামী লীগের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকার প্রধান হিসেবে যে স্ট্যান্ড নিয়েছিলেন তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এ ব্যাপারে আওয়ামী বুদ্ধিজীবী এবং সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরী গত রবিবার একটি বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত তার লেখায় কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন। তার জবানীতেই তার লেখার অংশবিশেষ নিচে হুবহু তুলে দিচ্ছি। তার আগে আরেকটি বিষয়ের প্রতি পাঠক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে এবং বামপন্থি দলগুলো জিয়াউর রহমান বা বেগম জিয়া সরকারের বিরোধী ছিল, তখন একটি কথা তারা বিশেষ করে কমিউনিস্টরা প্রায়শই বলত। ওরা বলত, ভারত বিরোধিতা মানে, ভারতের জনগণের বিরোধিতা নয়। আমরা চাই দুই দেশের জনগণের মাঝে বন্ধুত্ব। এখন আমরা ফারুক চৌধুরীর লেখায় ফিরে যাচ্ছি।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে ঢাকায় ফেরেন। ওই দিনই ঢাকায় অনুষ্ঠিত লক্ষ লক্ষ লোকের এক বিশাল জনসভায় তিনি বলেন, “তোমাদের প্রতি আমার কোনো বৈরী মনোভাব নেই। আমি চাই তোমরা সুখে থাকো। তোমাদের সেনাবাহিনী আমাদের লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, আমাদের মা-বোনদের সম্মানহানি করেছে, গ্রামের পর গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তবু আমি তাদেরকে ঘৃণা করি না। তোমরা তোমাদের স্বাধীনতা নিয়ে থাকো আর আমরাও যেন স্বাধীন থাকি।” তার ওই কথার প্রতিধ্বনি করে আমি বলতে চাই, আমরা পাকিস্তান সরকারের অনেক নীতিকে সমর্থন নাও করতে পারি, কিন্তু তাই বলে পাকিস্তানের ১৯ কোটি জনগণের বিরোধী নই আমরা। পাকিস্তানের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী গরিব। বাংলাদেশ ও ভারতের সাধারণ মানুষও গরিব। এই উপমহাদেশের সবগুলো দেশের গরিব জনগণের অবস্থার উন্নতি ঘটুক, এটা আমরা সকলে চাই।
১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার রাজভবনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে আয়োজিত এক ভোজসভায় বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমার একান্ত আশা এই যে অবশেষে উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে...। আমরা যেন আমাদের মূল্যবান জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট না করে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ব্যবহার করি। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়াকে একটি শান্তির এলাকায় পরিণত করতে চাই, যাতে আমরা আমাদের জনসাধারণের মঙ্গলের জন্য গঠনমূলক নীতি বাস্তবায়ন করতে পারি...।’ এই বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে তার ধ্যান-ধারণা আরো স্পষ্ট করেন।
শেখ মুজিব পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চেয়েছেন সহযোগিতা, কনফ্রন্টেশন বা মোকাবেলা নয়। তাই তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যাদির সমাধান এই অঞ্চলের জনসাধারণ এবং সরকারই করবে। যদি প্রতিহিংসা জাগিয়ে রাখা হয়, তাহলে টানাপোড়েন হ্রাস পাবে না।”
যারা পাকিস্তানকে সার্ক থেকে বাদ দিতে চাচ্ছেন তারা শান্তির পক্ষের লোক নন। তাদের সব সময়ের চেষ্টা থাকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে রাখা। এই অশান্তির আগুন যদি দুই দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আগুনে রূপান্তরিত হয় তাহলে বাংলাদেশও এই অশান্তির আগুন থেকে রেহাই পাবে না। কনভেনশনাল অস্ত্র বা প্রচলিত অস্ত্রের যুদ্ধ যদি পাকিস্তানের প্রতিকূলে যায় তাহলে পাকিস্তানকে ভারতের বিরুদ্ধে এটম বোমা মারতে হবে। বাংলাদেশের পাশেই কলকাতায় রয়েছে ভারতের কলাইকুন্ডা নামক যুদ্ধ বিমান ঘাঁটি। এই ঘাঁটি থেকে কোনো বিমান উড়ে গিয়ে পাকিস্তানে আঘাত করলে পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিশোধ নেবে। ফারুক চৌধুরী লিখেছেন, প্রচলিত অস্ত্রে ভারত এগিয়ে থাকলেও পারমাণবিক অস্ত্রে দুটি দেশ সমানে সমান। ভারত এবং পাকিস্তানের কাছে যেসব পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে সেগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে বিস্ফোরিত এটম বোমার চেয়েও ৮০ গুণ বেশি শক্তিশালী। ফারুক চৌধুরী লিখেছেন, “যদি ভারতের ‘অগ্নি’ মিসাইল একটি বোমা নিয়ে উড়ে আসে রাওয়ালপিন্ডির আকাশে, তাহলে ইসলামাবাদ-রাওয়ালপিন্ডি আর মারগালা পাহাড়ের শ্যামলিমা আর তার চারপাশে বসবাসকারী মানুষ, পশুপাখিসহ কোনো প্রাণীর অস্তিত্বই থাকবে না। ভারতের পারমাণবিক বোমা নিমেষেই বিলুপ্ত করে দিতে পারে গান্ধারা সভ্যতার নিদর্শন, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, বিম্বিসার, অশোক আর কনিষ্কের পীঠস্থান তক্ষশীলা। ঠিক তেমনি পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা বহনকারী মিসাইল এক নিমেষেই ধূলিস্মাৎ করে দিতে পারে ইব্রাহিম লোদি, নিজামুদ্দিন আউলিয়া, হুমায়ুন, শাহজাহান আর খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দিল্লি, আগ্রা আর আজমির।”
এই যুদ্ধের আগুন জ্বলে ওঠা থেকে ভারত পাকিস্তান উভয় দেশকে বিরত রাখতে পারে একমাত্র সার্ক। একমাত্র সার্কের বন্ধনই ঠেকাতে পারে আণবিক যুদ্ধ। পাকিস্তানকে সার্ক থেকে বাদ দিলে তখন পাকিস্তান মরিয়া হয়ে উঠবে। খোদা না খাস্তা, যদি যুদ্ধ লেগে যায় এবং বাংলাদেশ যদি ভারতের পক্ষ অবলম্বন করে তাহলে বাংলাদেশও পাকিস্তানের শত্রু হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র যে কোন দিকে ছুটবে সেটি আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন