নীলফামারী সৈয়দপুর রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রথম শ্রেণির স্লিপার কোচ খুলে রাখা হয়েছে। চিলাহাটি-খুলনাগামী রেলপথে চলাচলকারী ওই ট্রেন দুটিতে দ্রুত কোচ সংযোজনের দাবি করা হয়েছে।
বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রী খুলনা রুটে ভ্রমণ করেন। অনুরুপ চিলাহাটি, ডোমার, নীলফামারী, পার্বতীপুর, শান্তাহার, ঈশ্বরদী, পোড়াদহ, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের যাত্রীরা ওই ট্রেন দুটি ব্যবহার করে থাকেন। এসব ট্রেনে রয়েছে একটি করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রথম শ্রেণির স্লিপার কোচ। যাতে রয়েছে রাত্রীকালীন ২৩টি শয়ন আসন। প্রচন্ড গরমের কারণে ওই কোচের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। কিন্ত টিকিট না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উচ্চ শ্রেণির যাত্রীরা। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আলমগীর হোসেন জানান, রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রথম শ্রেণির আসনের চাহিদা ব্যাপক। কিন্ত যান্ত্রিক ক্রটির কারণে ওই কোচ খুলে রাখা হয়েছে। যা মেরামতের জন্য দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পাঠানো হয়েছে। প্রায় মাস খানেক থেকে স্লিপার কোচটি বন্ধ রয়েছে।
চিলাহাটি স্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলাম জানান, প্রথম শ্রেণির কোচ না থাকায় ভিআইপি সিট দিতে ব্যর্থ হচ্ছি আমরা। ভিআইপি যাত্রীরা টিকিট না পেয়ে আমাদের গালমন্দ করছেন।
সংরক্ষিত আসনের এমপি রাবেয়া আলীম দ্রুত ওই ট্রেন দুটোতে প্রথম শ্রেণির কোচ সংয়োজনের দাবি করেছেন। তিনি এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি চিঠি (ডিও) দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ে। তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন দুটিতে স্লিপার কোচ নেই ভাবতে অবাক লাগছে।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেল কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মো. জয়দুল ইসলাম জানান, ওই দুটি ট্রেনের কোচ মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই কোচটি ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন