কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুরে সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় পুরো গৌরিপুর বাজার। শুধু তাই নয়, বাজারের রাস্তাঘাট সয়লাব হয়ে যায় ময়লা-আবর্জনাসহ পানিতে। দেখা দেয় পরিবেশ বিপর্যয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে পুরো বাজারের অলিগলি। মহাদুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের।
উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে টানা ৫/৬ ঘণ্টা বৃষ্টির ফলে গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পুকুরসহ রাস্তা-ঘাটে বড় ধরনের পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এই জমে থাকা পানি সরাতে যান স্থানীয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. হেলাল এক সময় পুকুরের ভেতর ড্রেনের মুখের ময়লা আবর্জনার স্তুপ সরানোর সময় পানিতে ডুবে যায়। পরে প্রায় ৩০ ঘণ্টা চেষ্টা করে তার লাশ উদ্ধার করেন কর্মীরা। বৃটিশ আমল থেকেই দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারটি একটি স্বনামধন্য বাজার। এই বাজারকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন স্কুল- কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা। এই বাজারটি এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, উত্তরে হোমনা-বাঞ্ছারামপুর সড়ক, দক্ষিণে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে। এই বাজারটি মূলতঃ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম স্থান, এখানে গড়ে উঠেছে বিশাল কাঠের বাজার, বড় বড় মার্কেট ও সুপার শপসহ তৈরি পোশাকের মার্কেট। বড় মসজিদ রোডে গড়ে উঠেছে আধুনিক জুয়েলারি মার্কেট। আরো গড়ে উঠেছে গৌরীপুর-হোমনা রোডে বহুসংখ্যক হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ নামিদামি ঔষধের দোকান। এক কথায়, এই ব্যস্ততম বাজারটি সকলের কাছেই সুপরিচিত এবং জনপ্রিয়। অবহেলা ও অব্যবস্থাপনায় বাজারটি হারাতে বসেছে তার নিজস্ব জৌলস। বিশেষ করে কাঁচা ও মাছ বাজার এই দুটি জায়গায় জলাবদ্ধতা সব সময় লেগেই থাকে। তার প্রধান কারণ হচ্ছে, এখানে পরিকল্পনানুযায়ী রাস্তা-ঘাটগুলো তৈরি করা হয়নি। এমনকি ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ভালো না। যার ফলে মাছ বাজার, তরকারি বাজার, মাংস বাজার ও চাল বাজারটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই। এ ব্যাপারে কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি রকিব উদ্দিন বলেন নোমান সরকার বাজারের সেক্রেটারির দায়িত্ব পাওয়ার পর বাজারের অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন