শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কলাপাড়ায় ভাতা পাইয়ে দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং জেলে কার্ড পাইয়ে দেয়ার নামে হাজার হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে গোলাম মাওলা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে গোলাম মাওলা প্রভাবশালী এবং ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের অনুসারী হওয়ায় এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোলাম মাওলা ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল ওহাব কারীর ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাতা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। এভাবে ওই এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষের কাছ থেকে তিনি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া যাদের বয়স হয়নি তাদের কাছ থেকেও তিনি টাকা নিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, ইউপি সদস্য জগৎ জীবন রায়ের সাথে তার চলাফেরা। তার নাম ভাঙিয়েই মূলত তিনি টাকা আত্মসাৎ করেন। তারা এর প্রতিকার চেয়েছেন।

দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা মমিন ফরাজী জানান, মেম্বার চেয়ারম্যানরা এ গ্রামে তেমন একটা আসেন না। তার বয়স না হওয়া সত্তে¡ও গোলাম মাওলাকে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য ৪শ’ টাকা দিয়েছেন। অপর এক বাসিন্দা হাফেজ সাইদুল হক জানান, প্রায় দুই বছর আগে গোলাম মাওলা তার বোন ফরিদা বেগমকে বিধবা ভাতা পাইয়ে দিবে বলে তার কাছ থেকে দুই হাজার ৫শ’ টাকা নেন। পরে ভাতার তালিকায় নাম লেখাতে না পেরে তিন চার কিস্তিতে দুই হাজার টাকা ফেরত দেন। এ বছর আবার তার কাছ থেকে তিনশ’ টাকা নিয়েছেন। সলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা সাহিদা বেগম জানান, তার মায়ের বয়স্ক ভাতা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এক বছর আগে দুই হাজার টাকা নেন গোলাম মাওলা। কয়েকদিন আগে তার মা মারা গেছেন। কিন্তু তার মায়ের ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোলাম মাওলা বলেন, তিন চারজনের কাছ থেকে তিনশ’ টাকা করে নিয়ে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার আনসার মোল্লাকে দিয়েছি। কারও কাছ থেকে ২ হাজার বা ৩ হাজার টাকা নেইনি। তবে আনসার মোল্লা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জগৎ জীবন রায় বলেন, ৪নং ওয়ার্ডের সকল জনগণই আমার। তবে গোলাম মাওলার পিতা ওহাব কারীকে সম্মান শ্রদ্ধা করতাম। গোলাম মাওলার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি জানান।
কলাপাড়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি বা আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। তবে বিষয়টি এখন শুনলাম। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন