শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

এ কেমন নির্মাণকাজ

হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

কামাল আতাতুর্ক মিসেল : | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

মাত্র শেষ হয়েছে রাস্তার কার্পেটিং কাজ। কিন্তু নিম্নমানের কাজের কারণে হাত দিলেই উঠে আসছে কার্পেটিং। উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচও। এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে নাটোরের রাধাকৃষ্ণপুর কালিমন্দির থেকে মির্জাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কে। অথচ এই রাস্তাটি সংস্কার করতে ব্যয় করা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। এ বিষয়ে নাটোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এতে এই কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা দুই প্রকৌশলীকে শোকজ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাজ পাওয়ার পরই সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ ওঠে। এতে স্থানীয়রা সড়কের কাজ সঠিকভাবে করার আহ্বান জানালেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্থানীয়দের কথা কোন কর্নপাত না করে নিম্নমানের কাজ চালিয়ে যান। এতে সড়কের কাজ করার পর দিনই হাত দিয়েই কার্পেটিং তুলে ফেলেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, লালপুর উপজেলার দুড়দড়িয়া ইউনিয়নের রাধাকৃষ্ণপুর কালিমন্দির থেকে মির্জাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। সেই বেহাল রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু কার্পেটিং এতই নিম্নমানের করা হয়েছে, কেউ হাত দিয়ে আঁচড় দিলে রুটির মতো গোল হয়ে উঠে আসছে। আবার হাত বা পা দিয়ে আঁচড় দিলে পিচ ওঠে যাচ্ছে। এই অবস্থায় নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসীরা। স্থানীয় মির্জাপুর এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, রাধাকৃষ্ণপুর কালিমন্দির এলাকায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সড়কের শেষ অংশের প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কে সমস্যা ছিল বেশি। ঢালাই করার পর দিনই সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের এসএম সামছুল ইসলাম নামের একজন ঠিকাদারি কাজটি পায়। কিন্তু হাত বদল হয়ে কাজটি করছেন ঠিকাদার বাবু। এ সড়কের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। টেন্ডার শেষে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের কাজ শুরু হয় ছয় মাস আগে। রাস্তা খোঁড়া এবং ইট বালুর কাজ শেষ হয়েছে ছয় মাস আগেই। এরপর সম্প্রতি শুরু করেছে কার্পেটিংয়ের কাজ। নিম্নমানের কাজের বিষয়ে ঠিকাদার বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সড়ক সংস্কারে প্রথম থেকেই স্থানীয় লোকজন সমস্যা সৃষ্টি করেছেন। তারা সাবল দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলেছেন।
এ ব্যাপারে নাটোর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসার পরই ল্যাবরেটরি প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে মালামাল পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাগারে ত্রুটি ধরা পড়ায় এই কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশলী এবং উপসহকারী প্রকৌশলীকে শোকজ করা হয়েছে। তাছাড়া ঠিকাদারকে চিঠি দিয়ে পুনরায় কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদারকে কাজের বিল পরিশোধ করা হয়নি। সংস্কার কাজ ঠিকমত না হওয়া পর্যন্ত বিল পরিশোধ করা হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন