রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফরিদপুরে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন

আনোয়ার জাহিদ, ফরিদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

ফরিদপুর ৯ উপজেলার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজারের নিত্যপন্যে আগুন জ্বলছেই। ৯ উপজেলার সবকটি বাজার নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়ছে দেখার কেউ নাই। ৩৫ টাকার মোটা চাল ৫০ টাকায় বহুদিন ধরে। বলা যায় সেটা এখন গা সওয়া হয়ে গেছে। ৯০ টাকার সোয়াবিন এখন ১৬০ টাকা। ৬০ টাকার মোটা ডাল ৯০ টাকা। ৫০ টাকার চিনি ৮৫ টাকা। ১৬শ’ টাকা মণ ময়দা ২৬/২৭শ’ টাকা। ৮/৯শ’ টাকার বিদ্যুত বিল ১৮/১৯ শত টাকা। ৯শ’ টাকার গ্যাস ১২শ’ টাকা। ৯৫০ টাকার ১২ কেজির এলপি গ্যাসের বোতল এখন ১২ শত টাকা। এত গেলো নিত্য ব্যাবহার্য্য খাদ্যপণ্যের দাম। মানব জীবনের জন্য অতীব জরুরি ঔষধ-পত্র, প্রসাধন ও নির্মাণ সামগ্রীর প্রশ্ন নয় নাই তুললাম। তবুও দুই-একটা উদাহরণ না দিলেই নয়। ২০/২৫ টাকার সাবান এখন ৪৫/৫০ টাকা। গরীবের ৩ হাজার টাকার টিন ৫/৬ হাজার টাকা। এমনিভাবে মানব জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সব পণ্য-সামগ্রীর দাম প্রতিনিয়ত লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে। বাজার ব্যাবস্থাপনা এতটা বিশৃঙ্খলা হয়ে পড়ছে যে, যেযার ইচ্ছেমতো মাল-সামানার দাম হাকাচ্ছে। এগুলো দেখার যেনো কেউ নেই। নেই কোন টু-শব্দও। জীবন বাচানোর তাগিদে মানুষ নিরবে পকেট থেকে টাকা ঢালছে আর যন্ত্রণায় ছটফট করছে। নামীদামী হোটেলে রেষ্টুরেন্টে গরীব কখনো খাওয়ার জন্য যায়না। সাময়িকক্ষুধা নিবারণে তারা ফুটপাতের যে হোটেল-রেস্তোরায় যায় সেখানেও বেসামাল অবস্থা। উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে একটা সিঙ্গারা-পুরি এখন ১০ টাকা। বুঝুতে কষ্ট হয়না সেখানে ভাত,মাছ,মাংসের দাম কত? সব মিলিয়ে সাধারণ মানুযের জীবন ও জীবীকার ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দ্রব্যমূল্য স্ফীতির যাতাকালে পিষ্ট-নিগ্রীহিত হচ্ছে মানুষ।বিশেয করে নিম্ন আয়ের ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের জীবন বিষিয়ে উঠেছে।
জীবন যুদ্ধে প্রতিমুহূর্তে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চলতে হচ্ছে তাদের। সাধারণ মানুষ বলছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শুনি পৃথিবী নাকি বদলে যাচ্ছে! বদলে যাচ্ছে আমার দেশ, বদলাচ্ছি আমরাও। আর এই পরিবর্তনের ঢেউয়ে উল্টে-পাল্টে যাচ্ছে জীবনের প্রতিটি স্তর। যার অসহায় শিকার হচ্ছে নিরীহ, অসহায় শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ একটি শ্রেণি-গোষ্ঠীর বাইরে এই পরিবর্তনের সুবিধা আর কেউ ভোগ করতে পারছেনা। দেশের কাঠামোগত অনেক উন্নতি হয়েছে এবং হচ্ছে। বড় দালানকোঠা গড়ে উঠছে। হচ্ছে ব্রিজ-কালভার্ট। বিদ্যুতের আলোয় ঝলমল করছে পল্লী প্রাঙ্গণ। কাঁচা রাস্তা হচ্ছে পাকা। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরাই যদি বেঁচে না থাকি তবে পাকা রাস্তায় কে হাটবে? এমন প্রশ্নের তীর বৃহত্তর ফরিদপুরের সন্তানের কাছে বৃহত্তর ফরিদপুরবাসীর।
উল্লিখিত বিষয়, ফরিদপুর সদর ইউএনও, নগরকান্দা ইউএনও সালথার ইউএনও এবং সংশ্লিষ্ট বাজার মনিটরিং এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা গণমাধ্যমকে জানান, জনস্বার্থে সকলেই স্ব স্ব স্থান থেকে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রাখছেন সিণ্ডিকেট ভাঙার জন্য। অল্পসময়ে বাজারের সকল পন্যের দাম নিয়ন্ত্রনে আসবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন