বানারীপাড়া (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা
বানারীপাড়ায় ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে ধর্ষক রুবেল ও শিক্ষার্থীর প্রেমিক মনির হোসেনকে আটক এবং ওই শিক্ষার্থীকে বানারীপাড়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার দিন দুপুর ১টায় ওই শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে কৃষ্ণপুর গ্রামের মাঝি বাড়িতে নিয়ে যায় প্রেমিক মনির। এসময় ওই এলাকার মোসলেম হাওলাদারের ছেলে রুবেল হাওলাদার তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। এ ব্যপারে থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এদিকে ঘটনাস্থল উজিরপুর এলাকায় হওয়ায় আটক ধর্ষক ও প্রেমিকসহ উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীকে উজিরপুর থানায় পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইলিশ নিধন রোধে প্রশাসনের জিরো টলারেন্স
বানারীপাড়া উপজেলা প্রশাসন ডিমওয়ালা ইলিশ নিধন বন্ধে আইনানুগ যে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, এটা প্রশাসনের জিরো টলারেন্স ঘোষণা। এ অভিযান সফল হলে সংশ্লিষ্টদের পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনের জিরো টরারেন্স ঘোষণা থাকলে ও জেলেরা ইলিশ নিধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতি বছর ইলিশ নিধন বন্ধ অভিযানে উপজেলার বেশ কয়েকটি চিহ্নিত মহল সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিভিন্ন কৌশলে ইলিশ নিধনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিগত বছর গুলোতেও উপজেলার কয়েকজন প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ছত্র ছায়ায় জেলেরা ইলিশ নিধন করে আসছিল। নিধনকৃত ইলিশ বন্দর বাজারে প্রকাশ্যে চিহ্নিত ক’জন মৎস্য ব্যাবসায়ী দালালদের মাধ্যমে গোপনে মজুদ করে পরবর্তীতে বেশি লাভে বিক্রি করে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মা ইলিশ নিধন বন্ধে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে বানারীপাড়ার ওসি মোঃ জিয়াউল আহসান জানান, গত মঙ্গলবার রাতে সন্ধা নদীতে অভিযান চালানো হলে জেলেরা জাল ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় দু’ছড়া জাল উদ্ধার হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন