কুমিল্লার মুরাদনগরে বিআরটি কর্তৃক রোডপারমিট থাকা সত্বেও গাড়ি চালাতে না দেয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে রয়েল সুপার সার্ভিস বাস মালিকরা। গতকাল দুপুরে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের রয়েল কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে মির্জা রিয়াজ আহমেদ বলেন, গত ১১ আগস্ট ছয়টি নতুন বাসের রোডপারমিট দেয় বিআরটিএ। ফলে ৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অনুমতি নিয়ে নির্ধারিত স্থানে কাউন্টার স্থাপন করি আমরা। দুঃখের বিষয় হলো সার্ভিস চালু করার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই আমাদের সার্ভিস বন্ধ করতে বলেন বিআরটিএ। শুধু তাই নয়, কুমিল্লা জেলা সড়ক পরিবহন গ্রুপ ও কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের বেশ কয়েকজন লোক পেশী শক্তি খাটিয়ে আমাদের দুটি গাড়ি জব্দ করে নিয়ে যায়। পরে মুচলেকা দিয়ে গাড়িগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। বর্তমানে রয়েল সুপার সার্ভিস চালু করতে না পেরে মালিক পক্ষ চরম আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। আর বেকার হয়ে পড়েছে নিয়োগ পাওয়া অনেক শ্রমিক। সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘বিআরটিএ অফিসে গিয়ে জানতে পারি, কুমিল্লা ট্রান্সর্পোটের ৬৫টি বাসের মধ্যে মাত্র ৮টি বাসের কাগজপত্র আছে। বাকি ৫৭টি গাড়ির কোন বৈধ কাগজপত্র নাই। ফিটনেস বিহীন গাড়িগুলো দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে অহরহ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রয়েল সুপার সার্ভিসের মালিক জহিরুল ইসলাম খান, আব্দুল কাদের ও ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
অপর দিকে কুমিল্লা ট্রান্সর্পোট মালিক পরিবহন সমিতির সভাপতি জামিল আহম্মেদ খন্দকারের মুঠোফোনে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কুমিল্লা ট্রান্সর্পোটের সবকটি গাড়ির রোড পার্মিট রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন