নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক। স্বল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় কৃষকেরা আউশ ধান ওঠার পরপরই আলু চাষে ব্যাস্ত হয়ে পরেছেন।
সৈয়দপুরের পাশের উপজেলা কিশোরগঞ্জে প্রথম আগাম জাতের আলু চাষ হলে তা দেখে সৈয়দপুর উপজেলার চাষিরা আগ্রহ সহকারে তারাও মাঠে নেমেছে। বর্তমানে কৃষকেরা আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া ডাঙ্গায় আলু চাষ করেছেন কৃষক রবীন্দ্রনাথ, তিনি বললেন, ‘আমি ৪ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু লাগাচ্ছি। বর্তমান সময়ে কমমূল্যে শ্রম পাওয়া যায়, এ সময় মানুষের হাতে কাজ থাকেনা। তাই যেখানে ৫শ’ টাকা মজুরি বর্তমানে ৩শ’ টাকা করে কাজ করে নিচ্ছি।
কামারপুকুর ইউনিয়নের কৃষক ফয়জুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে মজুরি কম থাকায় এক বিঘা জমিতে আলুর বীজ, সার ও কিটনাশক বাবদ চাষে প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আশাকরি আলুতে দু’টি পয়সা পাব। আর যদি জমিতেই ভালো দামে আলু বিক্রি করা যায়, তাহলে ৪০ হাজার টাকার মতো লাভ আসতে পারে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে, তাই ভালো ফলনের আশা করছি। প্রতিবিঘায় ৩০-৩৫ মন আলু উৎপাদন হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম বলেন, অনেক আগে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এই আলুর আবাদ শুরু হয়। তা দেখে এখন সৈয়দপুরের চাষিরাও শুরু হরেছে এবং আমরা তাদেরকে সব ধরণের সহযোগিতাও করবো। রোপণের ৫৫-৫৮ দিনের মধ্যে এই আলু ঘরে তোলা যায় এবং ফলনও ভালো। কৃষকেরা বেশ ভালো দামে আলু বিক্রিও করতে পারেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন