জোরপূর্বক কলেজ থেকে বের করে দেয়ার পর দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষে আদালতের নির্দেশে স্বপদে বহাল হলেন গাজীপুরের শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজের অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আখন্দ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ৫ম সিনিয়র জজ আদালত স্বপদে বহাল হওয়ার আদেশ দিলে ১৬ অক্টোবর কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যোগদানের আবেদন করেন অধ্যক্ষের আইনজীবী এএএম আমানুল্লাহ ফরিদ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আখন্দকে ২০০৯ সালে সন্ত্রাসী কায়দায় জোড় করে কলেজ থেকে বের করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় তৎকালীন পরিচালনা পরিষদ। পরে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও পরিচালনা পরিষদকে ব্যবহার করে নুুরুন্নবী আকন্দ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আখন্দ কলেজে প্রবেশ করতে না পেরে গাজীপুর আদালতে দেওয়ানী মোকাদ্দমা ২৩০/২০১০ দায়ের করেন। দীর্ঘদিন শুনানী শেষে অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল মর্মে আদেশ দেন। এখন থেকে তার দায়িত্বপালনে আর কোন বাধা রইল না।
শ্রীপুর রহমত আলী কলেজের অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, ২০০৫ সালে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ লাভ করে দায়িত্বরত ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর ২০০৯ সালে কলেজের পরিচালনা পরিষদের এক সভা চলাকালীন সন্ত্রাসী কায়দায় জোড় করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে তারা রেজুলেশন তৈরি করে তৎকালীন এমপির মদদপুষ্ট নুরুন্নবী আকন্দকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। একজন শিক্ষক হিসেবে এটা তার কাছে ছিল চরম অপমানকর। তাই অন্যায় এ বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। চালিয়েছেন আইনী লড়াই।
কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত তরিকুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আখন্দ মামলার আদেশের কপিসহ যোগদানের অনুমতি চেয়েছেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন