গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ও দামোদরপুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে প্রভাবশালী একাধিক চক্র ড্রেজার বসিয়ে ঘাঘট নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওই বালু খেকো চক্রের কাছ থেকে হুমকি ও নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে এলাকার লোকজন। এনিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার জামালপুর ও দামোদরপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নলডাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ঘাঘট নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী সাইদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও হাসান আলী নামে তিনজনের একটি চক্র। এছাড়া অপরদিকে দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা বাঁধের মাথায় নীলকান্দের ছড়া এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন ফুল মিয়া ও জুয়েল মিয়া নামে অপর দু’ব্যক্তি। সংশ্লিষ্ট বালু উত্তোলনের জায়গায় ঢিপ করে রাখা হয় বালুর স্তুপ। সেখান থেকে ট্রাক ও ট্রলি (কাকড়া) দিয়ে বালু নিয়ে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে ওই এলাকার রাস্তাগুলো ভেঙে চুড়ে চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। এতে পথচারিরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ অভিযোগ করেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রভাবশালী চক্রটি স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবাধে বালুর ব্যবসা চালিয়ে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে ঘাঘট নদীর সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর এবং ফসলী জমি।
এব্যাপারে বালু উত্তোলনকারী ফুল মিয়া জানান, এ বালু আমার না। স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি আমার কাছে হাজার হিসাবে চুক্তি করে এইসব বালু উত্তোলন করে নিচ্ছেন। বালু উত্তোলনের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে দামোদরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ জেড এম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন জানান, বালু উত্তোলনের ব্যাপারে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা কি করছেন তা আমার জানা নেই। জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মন্ডল বলেন, বালু উত্তোলনের ব্যাপারটি তার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন