ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
ছাতক থেকে সিলেটগামী ট্রেন থেকে বখাটে কর্তৃক অপহরণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। অপর এক কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। খবর পেয়ে দু’কিশোরীকে উদ্ধার করে ছাতক থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া দুই কিশোরীর মধ্যে ধর্ষিত এক কিশোরীকে গত বৃহস্পতিবার ১২টায় ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সার্ভিস (ওসিসি)-তে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাতক থানা পুলিশ দু’লম্পটকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মান্দাবাজ গ্রামের সোনা আলী ঠাকুরের ছেলে আব্দুল বারিক (২৮) ও একই এলাকার আব্দুল মন্নানের ছেলে রোমান মিয়া (৩০)। জানা যায়, সিলেট নগরীর খোজারখোলা রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দা ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরী তার ১৬ বছরের এক ভাগনিকে নিয়ে গত ৭ অক্টোবর সকালে ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামে দুলাভাই রোবেল মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর ১১ অক্টোবর বিকেলে দুই কিশোরী দুলাভাইয়ের বাড়ী থেকে সিলেট ফেরার পথে গোবিন্দগঞ্জস্থ ছৈলা-আফজালাবাদ রেলস্টেশনে পৌঁছে। এ সময় ৬/৭ জন বখাটে দু’কিশোরীর পিছু নেয়। স্টেশন থেকে ট্রেনে সিলেট যাওয়ার পথে পরবর্তী সৎপুর রেলস্টেশনে পৌঁছামাত্র সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে লম্পট বারিক তার সহযোগীদের নিয়ে দু’কিশোরীর মুখ বেঁধে ট্রেন থেকে নামিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। লম্পট বারিক তার গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে এক কিশোরীকে ৬ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ও অপর কিশোরীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর একটি কক্ষে বন্দি করে রাখে। অপহরণের খবর কিশোরীর দুলাভাই রোবেল মিয়া জানতে পেরে বিষয়টি ছাতক থানা পুলিশকে অবহিত করেন। ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এসআই শফিকুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ১২ অক্টোবর সকালে বিশ্বনাথ উপজেলার মান্দাবাজ গ্রাম থেকে দু’কিশোরীকে উদ্ধারসহ লম্পট বারিক ও রোমান মিয়াকে আটক করে ছাতক থানায় নিয়ে আসে। ১২অক্টোবর সারাদিন নানা টালবাহানার পর অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনাস্থল বিশ্বনাথ উপজেলায় হওয়ায় রাত ২টায় ছাতক থানা পুলিশের হাতে উদ্ধারকৃত দু’কিশোরী ও আটক দু’লম্পটকে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ধর্ষিত কিশোরীর দুলাভাই রোবেল মিয়া বাদি হয়ে দু’জনের নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিশ্বনাথ থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, ধর্ষিত ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের স্বীকার দু’কিশোরীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটককৃত আসামি আব্দুল বারিক ও রোমান মিয়াকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সিলেট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন