আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে
মীরসরাই উপজেলার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ জনচলাচল সড়কে ব্রিজ-কালভার্টের মধ্যখানে ঝুঁকিপূর্ণ ম্যানহোলের মতো গর্ত। এতে প্রতিদিন মানুষ আহত হচ্ছে। এসব গর্তেই পতিত হয়ে অনেকে যাচ্ছে হাসপাতালে। কেউবা প্রাণে বেঁচে আসলে এসব গর্তের পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। কারো প্রাণও যেতে পারে কোন কোন ঝুঁকিপূর্ণ গর্তে। অথচ স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধি, কর্ণধার, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সেসব রাস্তা দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ গর্তগুলোকে যেন পাশ কাটিয়ে চলছেন অবাধে। সাধারণ মানুষ নেতা হতে মেম্বার, চেয়ারম্যান সবাইকে গালি দিয়ে দিয়ে পথ চললেও কেউ কেউ নিত্যই দুচার শব্দ শোনাচ্ছেন রাজনৈতিক নেতাদেরই। ছাড়ছেন না সরকারকেও দুচার শব্দ বলতে। গত ১০ অক্টোবর মলিয়াইশ স্কুলের সামনে রাস্তার উপর কালবার্টের মধ্যখানের গর্তের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন বৃদ্ধা কানন বালা, বলেই উঠলেন ‘হেদিন ও আর নাতিনগা খাদারতে হড়ি ঠেং ভাইংছে, ক বছর ধরি কেউ দেখের না ভাঙ্গা হোল ইয়ান, আর ক বছর গেলে দেইখবো হেতারাই যানে, কোন দিন রাইচ্চা আন্ডা ও খালেরতে হড়ি মরি যাই বুঝিয়ের না’। উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের মলিয়াইশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনেই ব্রিজের উপরই এই বিশাল গর্তে কয়েকটি স্কুলের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীসহ কয়েক ইউনিয়নের মানুষ দুর্ভোগ পাচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। উপজেলার ছদরমাদিঘী-পরাগলপুর সড়কের ছরদমাদিঘী বাজারে একটি কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল করছে। পথচারীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তাও যেন কেউই দেখছে না। আবুতোরার বাজারের শুরুতে বাজারে ঢুকতেই রয়েছে রাস্তার উপর বিশালাকায় গর্ত। আবার কাঁচা বাজারে ঢুকতে সেখানেও কালভার্ড ভাঙ্গা, সাহেরখালী-ডোমখালী রাস্তায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ গর্ত। সেখানে রাস্তা ও গর্তের জন্য জনভোগান্তি দীর্ঘদিনের। এইসব বিষয়ের মীরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী রাশেদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মলিয়াইশ স্কুলের সামনের গর্তসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় কালভার্ডগুলোর গর্তের বিষয়ে ইতোমধ্যে আর্থিক বরাদ্দসহ রিফেয়ারিং ও টেন্ডার প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধিন। আশা করছি এইসব গর্তের জন্য আর বেশিদিন কষ্ট করতে হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন